বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা জানিয়েছেন, বিয়ের পরও জীবনের খুব একটা পরিবর্তন আসেনি তার। বরং এখনো নিজেকে স্বামী জাহির ইকবালের ‘বান্ধবী’ বলেই ভাবতে ভালোবাসেন তিনি।
২০১০ সালে সালমান খানের বিপরীতে ‘দাবাং’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পথচলা শুরু করেন শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা সোনাক্ষী। প্রথম ছবিতেই ‘রাজ্জো’ চরিত্রে তরুণ দর্শকের হৃদয় জয় করেন তিনি। এরপর ‘আকিরা’, ‘নুর’, ‘ডাবল এক্সএল’, ‘লুটেরা’, ‘দহাড়’ এবং ‘হীরামান্ডি’–এর মতো ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে নানা চরিত্রে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন।
ডেকান ক্রনিকল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী বলেন, ১৫ বছর পর নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করছি, তা–ও তেলেগু ছবিতে—আমার কাছে এটি বিশেষ অনুভূতি। ‘দাবাং’ মুক্তির সময় যেমন উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম, এখন ঠিক তেমনই লাগছে। ‘জটাধারা’ যেন আমাকে ফিরিয়ে নিয়েছে সেই প্রথম দিনের অনুভূতিতে।
ছবিটিতে সোনাক্ষী অভিনয় করেছেন এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে—‘ধন পিশাচিনী’। পুরাণ, আধিভৌতিক ও থ্রিলারের মিশ্রণে নির্মিত এই চরিত্রকে তিনি জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
তার ভাষায়, এমন চরিত্রে আগে কখনো কাজ করিনি। নির্মাতারা আমাকে এই চরিত্রের জন্য ভেবেছেন, এটা গর্বের। জানতাম, আমার মধ্যে এমন শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয়ের সামর্থ্য আছে। আশা করি, এবার দর্শকদের সত্যিই ভয় দেখাতে পারব।
চরিত্রে ঢোকার প্রস্তুতির সময়ও ছিল মাত্র ১৫ দিন। তবুও সেটে পৌঁছেই চরিত্রের ভেতর ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি।
সোনাক্ষী বলেন, আমি যত কম সময় পাই, তত মনোযোগী হই। ভেঙ্কট স্যার আমাকে সহজভাবে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাই ভাষা আলাদা হলেও কাজটা সহজ মনে হয়েছে।
এবার সোনাক্ষীকে দেখা যাবে প্রথমবারের মতো তেলেগু চলচ্চিত্রে। ছবির নাম ‘জটাধারা’—যা পরিচালনা করছেন ভেঙ্কট কল্যাণ ও অভিষেক জয়সোয়াল। দক্ষিণের এই ছবিতে আত্মপ্রকাশ নিয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গে এসে সোনাক্ষী বলেন, বিয়ে আমার জীবন খুব একটা বদলায়নি। এখনো নিজেকে জাহিরের বান্ধবী বলেই ভাবি, স্ত্রী নয়—আর সেটাই দারুণ লাগে। একমাত্র পার্থক্য হলো, এখন মা–বাবার বাসার বদলে ওর সঙ্গে থাকি। বিয়ের আগে যেমন কাজ করতাম, এখনো তেমনই করছি। বরং জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে। জাহির আমার সবচেয়ে বড় সমর্থন আর শক্তি। ছোট ছোট বিষয়েও ওর পরামর্শ নিই, যদিও কখনো কখনো মনে হয়, একটু স্বাধীনচেতা হওয়াও দরকার।
সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল ২০২৪ সালের ২৩ জুন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

