মাত্র ১৩ বছরের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরোহী দীপক বিদলান স্কুলের তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার ভারতের মহারাষ্ট্রের জালনায়সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আরোহীর পরিবার বিশেষ করে তার বাবা অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের অত্যাচারের কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি। জালনার মস্তগড়ের বাসিন্দা আরোহী সিটিএমকে গুজরাটি স্কুলের শিক্ষার্থী। তার বাবা একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্যানিটেশন কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
আরোহীর বাবা জানান, সেদিন সকালে আরোহী স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি থেকে স্কুলে যায় এবং কোনো মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ তিনি বুঝতে পারেননি। হঠাৎ স্কুল থেকে ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্কুল থেকে ফোনে জানানো হয় মেয়ে এমন কিছু করেছে। স্কুলে গিয়ে জানতে পারি তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ডাক্তার জানান যে তার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। পরে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’ আরোহীর বাবার দাবি, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। নিশ্চয়ই শিক্ষকরা তাকে নির্যাতন করেছিল।
সদরবাজার থানার পরিদর্শক সন্দীপ ভারতী জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সকাল ৭টা ৩০ থেকে ৮টার মধ্যে মেয়েটি স্কুল ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেয়।’ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জানান, আরোহীর বাবা এখনো পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেননি। এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের দ্বারা নির্যাতনের কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

