ইসমাইল হোসেসন রবিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে মা-মনি আইডিয়াল স্কুলের ঢুকে ৩ শিক্ষককে এলোপাতাড়ি মারধর করা অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী নূর নবী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ আহত ৩ শিক্ষককে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের পাঠান।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম চরমনসা গ্রামে অবস্থিত ‘মা-মনি আইডিয়াল স্কুল’ থেকে আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, মা-মনি আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরা সকালে বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করছে। একপর্যায়ে মাঠের পাশে ধানক্ষেতে পড়ে যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী। এতে ধানগাছের ক্ষতি হয়, দাবি করে ক্ষেতের মালিকের স্ত্রী খালেদা বেগম এসে বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষিকা শাহজাদা বেগমের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে খালেদা বেগমের স্বামী নূর নবী, ছেলে রিপন ও রিয়াজ এসে স্কুলের অফিস কক্ষে চালায়। বাঁধা দিতে গেলে শিক্ষক শাহজাদা বেগম তার মেয়ে নাসরিন সুলতানা মিশু ও ছেলে মো. আজিমকে হামলাকারীরা মারধর করেন। জাতীয় সেবা-৯৯৯ কল করলে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের পাঠান। আহত মা-ছেলে,মেয়ে নিজেরাই বিদ্যালয়টি-২০১৮ সাল থেকে পরিচালনা ও শ্রেণী কক্ষের পাঠদান দিয়ে আসছেন। বিদ্যালয়টি সরকারি রেজিস্ট্রার ভুক্ত দাবি ভুক্তভোগীদের। এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালক ও নারী শিক্ষিকা শাহজাদা বেগম জানান, এটি একটি অবহেলিত গ্রাম। ২৫ বছর ধরে চর মনসা গ্রামের ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখা দিয়ে আসছি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ‘মা-মনি আইডিয়াল স্কুল’টির যাত্রা শুরু করি। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টি দেওয়ার পর থেকে একটি চক্র স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়ায় জন্য বানচাল করছে। আজ সকালে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছে মাঠে। মাঠের পাশে স্থানীয় প্রভাবশালী নূর নবীর একটি ধান ক্ষেত রয়েছে। নূর নবীর স্ত্রীর দাবি ছেলে-মেয়েরা না কি তাদের ক্ষেতে ধানগাছ নষ্ট করছে। এনিয়ে তারা এসে আমার স্কুলে ঢুকে আমাদের ওপর হামলা করে।
অভিযুক্ত নূর নবী জানান, স্কুলের ছেলে-মেয়েরা ছাড়া ও শিক্ষক শাহজাদার কয়েকটি রাধা হাঁস আমাদের ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি করছে। নিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়েছে। এখানে কেউ কাউকে মারধর করেনি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জাতীয় সেবা-৯৯৯ কল পেয়ে আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।