সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন মো. রেজাউল করিম।
গত ১০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি একই ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার থেকে ডিএমডি পদে পদোন্নতি লাভ করেন। মো. রেজাউল করিম ১৯৯৪ সালে সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে এবং প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন করপোরেট শাখায় কাজ করেছেন।
রেজাউল করিম ১৯৬৭ সালে কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
আজ নিউজ-এর প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকালে জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমরা এখন টেকসই উন্নয়নের কথা বেশ গুরুত্ব দিয়েই বলি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগেই জিয়াউর রহমান টেকসই, পরিবেশবান্ধব, উন্নয়নদর্শন বাস্তবায়ন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বল্প সময় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে তিনি দেশের মাটি, পানি, পরিবেশকে অক্ষত রেখে অর্থনীতি, উন্নয়ন ও নাগরিক জীবন একসুতোয় গেঁথেছিলেন। ওই সময়ে বিভিন্ন দেশেই সামরিক বাহিনীর লোকজন ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে খুব বেশি শাসক জনপ্রিয় হতে পারেননি। রাষ্ট্র পরিচালনায় জিয়াউর রহমান অনেক দক্ষ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদেরও ছাপিয়ে গেছেন। এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দেশের শাসনভার গ্রহণ করে সার্বিকভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন সর্বত্র। জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, ‘The Beauty of Diversity’ মতবাদে। তাইতো বাকশালে বিলীন হওয়া আওয়ামী লীগ তার শাসনামলেই আবার নিজ নামে রাজনীতির নতুন সুযোগ পায়।
দীর্ঘ তিন দশকের কর্মজীবনে রেজাউল করিম মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ লোকাল অফিস প্রধান, জিএম অফিস প্রধান ও প্রিন্সিপাল অফিস প্রধান হিসেবে সাফল্য ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাংক খাতে দক্ষতা ও সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘স্মার্ট ব্যাংকার’ ও ‘পরিচ্ছন্ন ব্যাংকার’ পুরস্কার পেয়েছেন।
রেজাউল করিম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি এমবিএ ও পেশাগত ডিগ্রি সিসিএনএ লাভ করেন। দেশী-বিদেশী জার্নালে তার পাঁচটি প্রকাশনার পাশাপাশি ব্যাংকিংয়ে মাঠ পর্যায়ে কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে সব কার্যক্রম সহজীকরণ বিষয়ে তিনটি বই রয়েছে। —বিজ্ঞপ্তি