বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর জন্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার রুপি খরচ করেছিলেন। আর এটি তিনি নিজের ইচ্ছায় করেছিলেন- তাই এই অর্থ খরচের বিষয়টি আত্মসাৎ বা প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে না বলে জনিয়েছে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত রিয়ার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন সুশান্ত। ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকার নিজ বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৩৪ বছর বয়সি এই অভিনেতাকে।
সিবিআই জানায়, সুশান্তের অনুরোধেই তার ম্যানেজার শ্রুতি মোদি ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তাদের (সুশান্ত ও রিয়া) ইউরোপ সফরের টিকিট বুক করেছিলেন।
এই তথ্যটি উঠে এসেছে সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্টে। এতে সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, রিয়া তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবংতার প্রায় ১৫ কোটি রুপি আত্মসাৎ করেছেন।
সিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুশান্ত রিয়ার জন্য খরচ করেছেন নিজের ইচ্ছায়। কেউ তাকে জোর করে বা বেআইনিভাবে অর্থ আদায় করেনি। তাই তাদের সম্পর্কের সময়কালের খরচগুলোকে ‘স্বাভাবিক ব্যয়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রতিবদনে আরও বলা হয়েছে, রিয়া বা তার ভাই শওয়িক চক্রবর্তী তারা কেউই ২০২০ সালের ৮ জুন থেকে সুশান্তের মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তার বাসায় উপস্থিত ছিলেন না। তদন্তে জানা গেছে, গত ১০ জুন সুশান্ত শওয়িকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। তবে সেদিনরিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘রিয়া ৮ জুন তার ভাই শওয়িককে নিয়ে সুশান্তের ফ্ল্যাট ছাড়েন। এ সময় তিনি সঙ্গে নিয়েছিলেন তার অ্যাপল ল্যাপটপ এবং অ্যাপল ঘড়ি, যা সুশান্ত তাকে উপহার দিয়েছিলেন। ’
সিবিআই আরও জানিয়েছে, ‘সুশান্তকে না জানিয়ে তার সম্পত্তি বা জিনিসপত্র থেকে কিছু নেওয়া হয়েছে — এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ‘
এ সময় সুশান্তের বোন মীতু সিং ৮ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত তার সঙ্গে ফ্ল্যাটে ছিলেন।
তদন্তে দেখা যায়, সুশান্ত নিজেই বলেছিলেন, রিয়া তার পরিবারের অংশ, তাই তার পেছনে যে খরচ হয়েছে, তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা)-এর আওতায় পড়ে না
রিয়াকে কোনো অস্থাবর সম্পত্তিও দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
এছাড়া, রিয়া বা তার পরিবার সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে বা হুমকি দিয়েছে — এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

