আবহাওয়ার পরিবর্তন ডেস্ক: সুন্দরবনের ওপর বয়ে যেতেপারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। তবে আমফান, ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়গুলোর মতো যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সে জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে ভারতীয় অংশের সুন্দরবন অঞ্চলে। ঘূর্ণিঝড়টির এখন যে গতিপথ আছে, তাতে এখন থেকে প্রস্তুত রয়েছে ভারত।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে, উপকূলীয় জেলাগুলিতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্ক করছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশ। এদিকে মাঝসমুদ্র থেকে জেলেদের ফিরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷ ফলে আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সতর্কতা নেয়া হয়েছে। উপকূল রক্ষীবাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বিপদকালীন আশ্রয়স্থল খোলা হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে আন্দামান সাগর হয়ে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার জেলাগুলোতে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বইতে পারে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দীঘা, মন্দারমনির হোটেলগুলো ইতোমধ্যেই খালি করা হয়েছে।
এমনিতেই অতিবৃষ্টি বা ঘূর্ণিঝড় এলেই ভেসে যায় সুন্দরবন, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুরের মতো এলাকা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ইতোমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।