সুখ না হয় থাকুক শুধুই তোমার
চরম খরার গ্রীষ্মের দাবদাহে
এসেছিলে তুমি মোর পাশে
প্রাকৃতিক চরম বৈপরিত্ততো তখন
মিশে গিয়েছিল বুঝি হিমেল বাতাসের সাথে।
কুহু কুহু সুরে কোকিল ডেকেছিল
বসন্ত আসেনি তবুও
শরতের কাশফুল ফুটেছিল বুঝি
মনে আছে সে কথা আজও।
মৃদু মন্দ বায়ুতে বাতাস বয়ে গিয়েছিল
মাধবীলতার সেকি দোল
কৃষ্ণচূড়াগুলোকে এতো রঙিন দেখাচ্ছিল
মন হয়েছিল ভীষণ আকুল।
মেহেদী পাতা সেদিন সবুজই ছিল
দেখিনি ওর ভিতরের রক্তাক্ত লাল
কন্টকময় ক্যাকটাসগুলোর ফুল সুশোভিত ছিল
শৈত্য প্রবাহের এতোটুকুতো ছিল না আকাল।
মন্থর গতিতে সেদিন নদী বহে গিয়েছিল
পানকৌড়িও মনের আনন্দে ভাসিয়েছিল গা
কচুরিপানাগুলোও ধীরে বহে চলে গিয়েছিল
স্রোতের টানে, নদীর দুকুলে লাগেনি ভাঙ্গনের ঘা।
কচি পত্র পল্লবে বৃক্ষ সেজেছিল
ঘাস ফড়িংয়েরা সূর্য কিরণের সাথে করেছিল মাখামাখি
ফুলের সনে ভ্রমরের কথোপকথন
কলি কি আর তখন থাকে প্রস্ফুটনে বাকি।
ঝাঁকে ঝাঁকে তখন অতিথি পাখি এসেছিল
একটির বুকেও তখন লাগেনি তীরের আঘাত
সুখ স্বাচ্ছন্দে ওরা বাড়ি ফিরে গিয়েছিল
কি সুন্দর ছিল সে প্রভাত।
প্রকৃতিক দুর্যোগও দেখিনি তখন তেমন
ঝড়-ঝঞ্ঝাও তেমন ছিলনা
অমাবর্ষার রাতও তেমন ঘুটঘুটে মনে হয়নি
মুগ্ধতাই সময় কেটেগিয়েছিল কতনা।
বিহাগের সুর ছিল না তখন
নূপুর নিপ্পনের সুরইতো বেশি কানে বাজত
পৃখিবীর বুকে এত সুর – সুভাষ ছিল
ফিঙ্গে ফড়িংরা কেবলই নাচত।
**********************
কবি ও লেখক : মো: জাহাঙ্গীর হোসেন (সাবেক সেনা কর্মকর্তা)
তারিখ : ২৩-০৭-২০১৯