স্টাফ রিপোর্টার: মহান সেবক এম এইচ শমরিতা হাসপাতাল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক মরহুম আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে তেজগাঁওস্থ প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে এক জ্ঞানগর্ব আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মরহুমের সহধর্মিনী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার গোলাম ফাতেমা তাহেরা খানম, সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল জলিল আনসারী। মঙ্গলবার (২৪ মে) সভার শুরুতে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মতিউর রহমান ও সভা পরিচালনা করেন ডাঃ মনোয়ারুল ইসলাম ও ডাঃ বাঁধন। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডাঃ এম ইউ কবীর চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, গাইনী প্রধান ডাঃ নাহ্লা বারী, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান মাস্রুল উল আলম, অধ্যাপক ডাঃ দিলীপ কুমার ধর, অধ্যাপক নূরুন নাহার, শমরিতা হাসপাতাল এমডি মোঃ হারুন, ডাঃ জেসমিন আরা, মরহুমের দৌহিত্র্য মেধাবী কর্ণধার রুজলান এবং দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক। বিশিষ্ট দেশপ্রেমিক আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রমাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
প্রধান অতিথ্বি গোলাম ফাতেমা তাহেরা খানম মরহুমের দীর্ঘ জীবনের সেবা, শিক্ষা, সমাজ সংস্ককরণ, অসহায়দের পাশে থাকা, জটিল ও কঠিন রোগীদের বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার বিভিন দিন বর্ণনা দেন। তিনি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মকবুলের বীরত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তুলে ধরেন। মরহুমের মনটা যেমন ছিল উদার তেমনি অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিলেন কঠোর। সংগ্রামী নেতার গ্রামের বাড়ী মুন্সিগঞ্জ হলেও তিনি শ্বশুর এলাকা টাঙ্গাইলে মাটি মানুষের মাঝে হৃদ্যয়তা গড়ে তুলেন। তিনি অনেক স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদে অনুদান দিয়ে এলাকার অভিভাবক হয়ে উঠেন। ঢাকা শহরের প্রাণ কেন্দ্র মোহাম্মদপুর এলাকার সন্ত্রাস নির্মূলে তিনি ছিলেন অতন্ত্র প্রহরী। শিক্ষা, চিকিৎসা, অসহায় বিধাব, এতিম, দরিদ্রদের পাশে থেকে তাদের আপন জন হয়েছেন। তিনি ছিলেন এলাকার উন্নয়নে নিকটতম অভিভাবক। পশ্চাৎপর জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির বাস্তবমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে এলাকার বাতিঘর বনে গিয়েছিলেন। শিক্ষা-চিকিৎসায় অগ্রসরতায় যেমন ভ’মিকা রেখেছেন, তেমনি ধর্মীয় সম্প্রীতিতে ছিলেন আপনজন। তিনি করোণার সময় বীরত্বে সাথে সমাজে কাজ করেছেন। জাতীয় সংসদে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত গনিষ্ঠ জন হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিলে তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। প্রতি সেশনের ছাত্রদের মাঝে একজন কোরানে হাফেজ ভর্তির সুযোগ দিয়ে দ্বীন দরদী প্রেমিকের পরিচয় দিয়েছেন। অডিটোরিয়াম পূর্ণ ছাত্রছাত্রীসহ সকলের প্রাণাধিক প্রিয় ব্যক্তিটির জন্য শহাদাতের ও জান্নাতুল ফেরদাউসের কামনা করে সভা শেষ হয়।
সভাপতি অধ্যক্ষ ডাঃ আব্দুল জলিল আনসারী তার বক্তৃতায়- আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতাকারীদের সহমর্মিতা, আগত অতিথি, ছাত্রছাত্রী, সুধীজনদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি মরহুমের নিকট থেকে দেখা মানুষ হিসেবে মর্মবাণীগুলো তুলে ধরেন।
