বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পতৌদি পরিবারের নবাব সাইফ আলি খানের ‘জুয়েল থিফ: দ্য হেইস্ট বিগিনস’ সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে। সেই সিনেমা মুক্তির এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নেটফ্লিক্সের শীর্ষ দশের তালিকায় রয়েছে।
নেটফ্লিক্সের ট্রেন্ডিংয়ের তালিকা থেকে সিনেমা বাছাই করে দেখার চেষ্টা করেন অনেকেই। সময় অল্প, কোন ধরনের সিনেমা দেখব—এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে রেহাই পেতে ট্রেন্ডিং লিস্ট বেশ ভালো কাজ করে। তবে সবসময় কি আপনার ট্রেন্ডিং লিস্টকে ভরসা করা উচিত?
ট্রেন্ডিং লিস্ট ছাড়াও যে সিনেমা চলে, তা ‘জুয়েল থিফ: দ্য হেইস্ট বিগিনস’ সিনেমাটি তার প্রমাণ। আর এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সাইফ আলী খান। দর্শকরা যে এ রকম একটি সিনেমা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন, তা বলাই বাহুল্য। তবে দর্শকের প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পেরেছেন এ অভিনেতা।
‘জুয়েল থিফ: দ্য হেইস্ট বিগিনস’ সিনেমার গল্পটি ঠিক এমন— রাজন আউলাখ একজন দুর্লভ চিত্রকর্ম ও রত্ন সংগ্রাহক। তবে সে এসব জিনিস সংগ্রহ করে থাকে চুরি-ডাকাতি করে। তারপর সেগুলো চড়ামূল্যে বিক্রি করে দেয় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের কাছে।
এ সিনেমার হিরো রাজন আউলাখ এসব জিনিস সংগ্রহ করতে সে যে কোনো ধরনের অপরাধ করতে পিছপা হয় না। হঠাৎ খবরে আসে বিখ্যাত আফ্রিকান লাল হীরা ‘রেড সান’ ইন্ডিয়ায় প্রদর্শনীর জন্য আসতে চলেছে। এই হীরা নিজের করতে সে মারিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু এ হীরা চুরি করতে তাকে একমাত্র একজনই সাহায্য করতে পারে, রেহান রায়। রেহান একজন কুখ্যাত চোর। যে কোনো জিনিস চুরি করা তার জন্য বাঁ হাতের খেল। তবে এখনো তার ওপর নজর রাখছে ভারতীয় পুলিশ। কিন্তু সে আমেরিকায় থাকায় গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।
রাজন সৃষ্টি করে এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আসতে বাধ্য হয় রেহান। শুধু তা–ই নয়, রাজনের জন্য রেড সান চুরি করতেও সম্মত হয় সে। কিন্তু পুলিশের চোখ আর প্রযুক্তির বেড়া ডিঙিয়ে রেহান কি পারে রেড সান চুরি করতে? নাকি রাজনের চালে ফেঁসে যায় সে? ‘জুয়েল থিফ: দ্য হেইস্ট বিগিনস’ সিনেমায় এমনই গল্প উঠে এসেছে।
‘জুয়েল থিফ: দ্য হেইস্ট বিগিনস’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কুকি গুলাটি ও রবি গ্রেওয়াল। এ সিনেমায় সাইফ আলী খান ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নিকিতা দত্ত, জয়দীপ আহলাওয়াত, কুনাল কাপুর প্রমুখ।