প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিককেই উল্টো প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন মেহেদী হাসান। কবে একাদশে থাকবেন, এ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা সব সময়ই থাকে তাঁর। প্রায় নিয়মিত পারফর্ম করেও থাকতে হয় একাদশের বাইরে।
এ নিয়ে একটা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আজ চট্টগ্রামে তিনি এক সাংবাদিককে বলেন, ‘আপনি যে চ্যানেলে চাকরি করেন, এক মাস এক চ্যানেলে, এক মাস আরেক চ্যানেলে হলে সেটা স্বাচ্ছন্দ্যের হবে না। একই জিনিস আমার ক্ষেত্রেও। কিন্তু চেষ্টা করছি…ভালো হচ্ছে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টির দলে সুযোগ পাননি মেহেদী। তবে আজ দ্বিতীয় টি–টোয়ন্টিতে সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, যা পাওয়ারপ্লেতে ৭৫ রান তুলে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে ১৭০ রানে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এর আগে গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি। তৃতীয়টিতে মাঠে নেমে ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছিলেন ১ উইকেট, যদিও সে ম্যাচে ক্যারিবীয়রা রান তুলেছিল নয়ের বেশি গড়ে।
নিজের খেলা সর্বশেষ ৬ ম্যাচের সব কটিতে ৪ ওভার করে বল করেছেন মেহেদী, এর মধ্যে একবারও ৩০ রানের বেশি দেননি। তবুও বারবার একাদশ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির পর। জবাবে মেহেদী বলেন, ‘আসলে এই প্রশ্নের উত্তর কোচ–অধিনায়ক বা নির্বাচকেরা দিতে পারবেন। আমার কাজ হচ্ছে খেলা।’
আজ যদিও বল হাতে শুরুটা ভালো ছিল না মেহেদীর। প্রথম ওভারেই তিনি দিয়েছিলেন ১৩ রান। তবে পরের ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। শুরুতে এ রকম ধাক্কার পরও কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রশ্নে মেহেদীর উত্তর, ‘চার ওভার বল করলে এক–দুই ওভার খারাপ যাবে। কিন্তু পরে পরিকল্পনার বাস্তবায়নটা পারফেক্ট হয়। এটা আসলে পুরোপুরি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, কোন পরিস্থিতিতে কী দরকার। আমি শুধু চেষ্টা করি।’
দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। সিরিজ–নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি ২ ডিসেম্বর।
