হজ নিবন্ধনের সময় পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। বেসরকারি নিবন্ধনের সংখ্যা আস্তে-ধীরে বাড়লেও সরকারি নিবন্ধনের সংখ্যা নিতান্তই কম। গত এক সপ্তাহে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৬৪ জন হজযাত্রী।
হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সেই হিসাবে সরকারিভাবে হজ করার কথা রয়েছে ১৫ হাজার। এখনো ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ১৫২ জনের কোটা; যা সরকারি মোট কোটার ৩৪ শতাংশ আসন খালি রয়েছে।
হজ নিবন্ধনের সরকারি পোর্টাল অনুযায়ী তৃতীয় দফার শেষ সময় গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ১০ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৬৮৪ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১ হাজার ৩২৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার শেষ সময় পর্যন্ত হজের সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৮৪৮ এবং বেসরকারিতে নিবন্ধনের করেছেন ১ লাখ ৬ হাজার ১২৩ জন।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১ সপ্তাহে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১৬৪ জন। বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৭৯৭ জন।
চলতি মৌসুমে হজ প্যাকেজের খরচ মাত্রারিক্ত বাড়ানো নিয়ে দেশে সব মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে হজের প্যাকেজের মূল্য ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলেও হজযাত্রীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
এবার হজ করতে আগ্রহী প্রাক-নিবন্ধন করেছেন প্রায় আড়াই লাখ মুসলমান। কিন্তু এখন চূড়ান্ত নিবন্ধনে এসে হজযাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এবার সরকারি-বেসরকারি নিবন্ধনের সময় গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। পঞ্চম দফায় সময় বৃদ্ধি করে প্রায় আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও প্রত্যাশিত হজের যাত্রী মিলছে না।