স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মানবপাচার রোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এটা আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না। সব মানবপাচারকারীকে বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে- যে কোনো মূল্যে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেল বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার গুরুতর একটি অপরাধ। এটা প্রতিরোধে সরকার কাজ করছে। প্রতিটি মানবপাচার ঘটনার তদন্ত ও বিচার করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সরকার একযোগে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে আইএলও প্রোটোকলে আমরা স্বাক্ষর করেছি। এর প্রতিরোধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্সে। এ বিষয়ে আমরা কখনও আপস করব না।
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার বিরোধী প্রতিবেদনে টায়ার-২ পজিশন আমাদের প্রচেষ্টার প্রতিফলন। মানবপাচার রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, মানবপাচার একটি জঘন্য অপরাধ। অনিয়মিত অভিবাসন কখনই কাম্য নয়। এর প্রতিরোধে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ লিডিং রোলে রয়েছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গারাও পাচারের শিকার হচ্ছেন। মানবপাচার প্রতিরোধে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, মানবপাচার একটি ভয়াবহ অপরাধ। এর প্রতিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নও নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যৌথভাবে মানবপাচার প্রতিরোধের করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলম, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী ও ইউএনওডিসি’র দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক প্রতিনিধি মারকো টেজিরিয়া উপস্থিত ছিলেন।