সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন সামান্য বাড়লেও কমেছে সূচক ও বেশিরভাগ শেয়ারের দামও। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দামের উঠানামা বাজারের সাধারণ চিত্র। উদ্বিগ্ন না হয়ে আস্থা আর বিনিয়োগ বাড়াতে দিতে হবে জোর নজর।
সেপ্টম্বরের প্রথম সপ্তাহে খুব একটা ইতিবাচক ধারা ছিল না দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে। দৈনিক গড় লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে সূচক ও শেয়ারের দর।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর আগের সপ্তাহের চেয়ে বাজার মূলধন কমেছে এক শতাংশ। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮১ কোটি টাকায় শুরু হওয়া বাজার সপ্তাহের শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৩১ কোটি টাকায়। তবে দিনের গড় লেনদেন পৌনে এক শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৮২৪ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ইনডেক্স বাড়বে, কমবে আবার মূলধন বাড়বে, কমবে এটাই মূলত বাজার। এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এখন যেই বাজার আছে এটাতে যদি কোনো লিকেজ না থাকে তাহলে এখান থেকে বাজার ভালো হবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য ম্যাসেজ হলো তারা যেনো কখনই কোনো গার্বেজে বিনিয়োগ না করে। তাহলে পুঁজি হারানোর শঙ্কা কমে যাবে।
সপ্তাহজুরে ডিএসই’র সূচকেও ছিল নিম্মমুখী ধারা। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭২৮ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে সোয়া এক শতাংশের বেশি। সপ্তাহজুরে ডিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯৫টি। দাম বেড়ছে ৭৬টির, কমেছে ৩১১ টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
মো. সাজেদুল ইসলাম আরও বলেন, শুধু আমাদের অন্তর্গত কারণ নয় বহিরাগত কিছু কারনে বাজার কনফিডেন্স হারাচ্ছিলো। রিজার্ভ যদি বাড়ে, ইন্টারেস্ট রেট বর্তমানে যা আছে সেটি যদি কমে, মুদ্রাস্ফীতি যদি কমে তাহলে বাজারে কনফিডেন্ট বাড়বে এবং বিনিয়োগকারী আসবে।
খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ার। মোট লেনদেনের সাড়ে ১৭ শতাংশই ছিল এই খাতের দখলে।