তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া আর অনলাইনের এই যুগে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে সংবাদের ‘ফ্যাক্ট চেক’ তথা সত্যতা যাচাই করাটা খুব জরুরি। গণমাধ্যমগুলোকে এজন্য সত্য-মিথ্যা যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) উদ্যোগে ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) আয়োজনে সংবাদ সম্পাদনাবিষয়ক তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক, সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল, পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিভাগের পারভীন সুলতানা রাব্বীসহ প্রশিক্ষণ নেওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাব-এডিটর ও ডিএসইসির নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়া সাব-এডিটরদের গুরুত্ব তুলে ধরে তথ্য সচিব বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদের গুরুত্ব ও সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন সাব এডিটররা (সহ-সম্পাদক)।
তিনি নিজেকে সাব এডিটরদের সঙ্গে এক কাতারের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি আপনাদের সাইডের মানুষ। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় পড়ার পর পরই সাংবাদিকতা করেছিলাম। এই মাধ্যমেই আমার ক্যারিয়ার শুরু করি। তাই আমি সবসময় আপনাদের দুঃখ-কষ্টটা বুঝি।’
এ সময় তিনি গত ১৫ বছরের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দীর্ঘ বছর আমরা বঞ্চনার শিকার হয়েছি। দেশের সবকিছুতেই বিভাজন ছিল। নিপীড়িত-নির্যাতিত ছিলো। এখন একটা পরিবর্তিত সময় এসেছে। আমরা এখন সুন্দর আলোর প্রত্যাশায় ছুটছি, সবাই সেই আলোর অপেক্ষায়।’
পিআইবি’র মাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের আরও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘পিআইবি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান। তবে যেরকম হওয়ার কথা ছিল, সেরকম হয়নি। এটা নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। তারপরও একটা পরিবর্তিত সময়ের পর সবকিছু নতুন করেই করতে হচ্ছে। চেষ্টা করছি নতুন কিছু করার।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা পেশাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যেই মতবাদেরই হোন না কেন, সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব থাকাটা অনেক জরুরি। কেননা একটি জাতির ধারণা, কল্পনা, জীবনধারাসহ সম্প্রদায়ের সকল বিষয় নির্মাণ কিন্তু সাংবাদিকরাই করে থাকেন। তাই জাতির জন্য যোগ্য সাংবাদিক হওয়াটা প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে সাব-এডিটরদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক, সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল। এসময় তারা সাব-এডিটরদের জন্য এরকম আরও প্রশিক্ষণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
পরে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়া ডিএসইসির সদস্যদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।