

শ্রীলংকার দক্ষিন পশ্চিম সীমান্তের সিপাড়া নামক স্থানে একটি পাহাড়ের চুড়ায় হয়রত আদমের একটি পদচিহ্ন রয়েছে। মুসলমানরা মনে করে এটা তাদের একটি পবিত্র স্থান। হিন্দুরা মনে করে এ পদচিহ্নটি তাদের দেবতা শিবের। খ্রীস্টানরা মনে করে এটা হযরত ঈশা (আঃ) এর পদচিহ্ন এবং বৌদ্ধরা মনে করে এটা বুদ্ধের পদচিহ্নি। এ কারনে সবার কাছেই স্থানটি পবিত্র। কিন্তু পদচিহ্নটি কার, এর মীমাংসা আজও হয়নি। বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন এটা হযরত আদমের ।
আমরা পৃথিবী কিভাবে ধ্বংস হবে, কত বছর পূর্বে মানুষ সৃষ্টি হযেছে, এররকম অনেক জটিল প্রশ্নে উত্তর দিয়েছি। পদচিহ্নটি কার এ প্রশ্রে উত্তর মোটিই কঠিন নয়। আমরাই এ উত্তর দিতে সক্ষম। আমার এ আলোচনা থেকে বুঝতে পারবেন পদচিহ্নটি কার।
পদচিহ্নটি একটি পাথরের উপর । পদচিহ্নটির দৈর্ঘ্য ৭৬ ফুট এবং প্রস্থ ২৪ ফুট । গভীরতা ৮ ফুট। তার মানে একটি ছোট খাটো পুকুরের সমান। ৫৫১ খ্রীস্টাব্দে এটি প্রথম নজরে আসে। ওই পাহাড়টির উচ্চতা ৭,৩৬০ ফুট। পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে ৪ হাজর ধাতব সিড়ি রয়েছে। ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা লাগে সেখানে উঠতে।
প্রশ্ন আসবে কত বছর পূর্বে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে । কত বছর পুর্বে শ্রীলংকার ভুখন্ডটি পানি থেকে উপরে উঠেছে? এখানে কেবল ডান পায়ে ছাপ রয়েছে, কিন্তু বাম পায়ের ছাপ কোথায়? এ সব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। আদমকে জর্ডানে কবর দেয়া হয়েছে। হযরত ইমরানের কবরের দৈর্ঘ্য ২১০ ফুট। হযরত আদমের কবরের দৈর্ঘ্য ২১০ ফুটেরও অধিক। ভূতত্ত্ববিদ কুভিয়েঁ বলেছেন, পৃথিবীতে স্থল ভাগ সৃষ্টির পর ৩ বার মহাপ্রলয় হয়েছে। এক মহাপ্রলয় থেকে পরবর্তী মহাপ্রলয় পর্যন্ত একটা মহাযুগ। বিজ্ঞানীরা পাঁচ কোটি বছর আগের নির্দশন পেয়েছেন, গড়ে প্রত্যেকটি মহাযুগের বয়স যদি পাঁচকোটি বছর ধরা হয়, মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রথম মহাযুগে । তার অর্থ ১৫ কোটি বছর আগে হযরত আদমের জন্ম। আমরা সে হিসেবে চতুর্থ মহাযুগের বাসিন্দা। তৃতীয মহাপ্রলয়ে শ্রীলংকার স্থল ভাগ পানি উপরে উঠে আসে। আদমের বয়স যদি ১৫ কোটি বছর হয় । শ্রীলংকার স্থল ভাগের বয়স ধরে নিলাম ৫ কোটি বছর। হযরত আদম কিভাবে বেহেস্ত থেকে শ্রীলংকায় আসেন? তাহলে প্রশ্ন জাগে এই পদচিহ্নটি কার? এরও একটি উত্তর পাওয়া গেছে।
উত্তর ভারতে ৮০ ফুট লম্বা মৃত মানুষের একটি কংকাল পাওয়া গেছে। কংকালের সাথে মহাভারতের চিত্রে ভীমের ছেলের মিল আছে । মনে করা হয় একটা মৃত মানুষের পূর্ব পুরুষের কংকার। ১৯৯২ সালে ফ্রাঞ্চের জেনোবলে সেন্টার ন্যাশনাল ডে আর্ট কম্পিউটার সেন্টার এই দৈত্যাকার কংকালটি প্রদর্শন করেছিলেন ডমিক। এটাকে রোমের মডার্ন আর্ট মিউজিয়ামে রাখা হয়েছিল। সেই কংকালের ছবি ফেটোশপ করে উত্তর ভারতের দৈত্যাকার ৮০ ফুট লাম্বা কংকালের গল্প ফাঁদা হয়েছিল বলে বেলেহোয়ার্ট ফ্যাক্ট নামের এ ওয়েভসােইড দাবি করে। যদি সত্যি সত্যি ঐ দৈত্যাকার কংকালটি উত্তর ভারতে পাওয়া যেত তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এর নিবন্ধিতকরণের তথ্য থাকতো। জানা গেছে ১৯৯০ সালে ডিনোডোজ ডমিকোজ নামে একজন শিল্পী ২৮ মিটার লম্বা ৮ টন ওজনের এ কাংকালটি তৈরী করেন। অথচ ভারতসহ অনেক দেশের মানুষ বিশ্বাস করতেন এটা মৃত মানুসের পূর্ব পুরুষের কংকাল।
ঠিক এরকম কোনো শিল্পী হেয়ালী বশতঃ শ্রীলংকার চুড়ায় এরকম একটি পদচিহ্ন তৈরী করে গেছেন। এটা বোঝানোর জন্য আর একটু বাড়তি কথা বলতে হয়। মানুষ সৃষ্টি হয়েছে ১৫ কোটি বছর পূর্বে । পৃথিবীর প্রত্যেকটি জাতির যেমন পশু, পাখি, মাছ , ফল এর প্রজাতি রয়েছ্। যেমন বাদুরের প্রজাতি দুহাজারের উপরে। মশার প্রজাতিও দুহাজারের উপরে । মানুষ কি শুধু দুজন সৃষ্টি হয়েছিল? কম পকেষ হাজারের উপরে মানুষের প্রজাতি ছিল । সেখানে থেকে টিকে আছে কত প্রজাতির মানুষ। যেমন, চিন, জাপান, আফ্রিকিার নিগ্রো এরা সবাই প্রজাতি। সেখানে আদম বলে কেউ ছিল? পবিত্র কোরান কিন্তু উত্তর দিয়ে গেছে, এই গ্রন্থের কিছু আয়াত আয়াত আছে সুস্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন্। অন্যগুলো রূপক। পরে আয়াতে বলো হয়েছে, যারা ফ্যাতনা সৃষ্টিকারী , নাস্তিক তারা এসব বিষয নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে থাকে। আমি কেন গোপন কথা প্রকাশ করলাম? পৃথিবীর ৯৯.৯৯ ভাগ মানুষের জ্ঞানের পশু পাখির জ্ঞানের চেয়ে কম্ । কাজেই যারা বুঝবার তারা বুঝবেন। বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পারবে না। কাজেই এ জন্য ধর্মের ভিত্ মোটেই দুর্বল হবে না।