ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: প্রবাসী বইপ্রেমীদের হৃদয় জয় করে শেষ হলো পাঁচ দিনের নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা। গতকাল সোমবার ছিল মেলার শেষ দিন। শেষ দিনটিতে নিউইয়র্ক ও অন্যান্য কয়েকটি স্টেট থেকে পাঠকেরা ছুটে আসেন মেলায়। সমাপানী অনুষ্ঠানে আগামী বছরের মেলার আয়োজনে আহ্বায়ক কমিটির নামও ঘোষণা করা হয়। ২০২২ সালে বইমেলায় গোলাম ফারুক ভুঁইয়াকে আহ্বায়ক করা হয়।
মেলার শেষ দিনটিতে কথা প্রকাশের সৌজন্যে ঘোষণা করা হয় সেরা প্রকাশনা সংস্থার নাম। এবার মেলায় সেরা প্রকাশনা সংস্থা নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা থেকে যোগ দেয়া অনন্যা প্রকাশনী। মেলার এবারের আহ্বায়ক ড. নুরুন নবী পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন অনন্যার সত্ত্বাধিকারী মনিরুল হকের হাতে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফেরদৌস সাজেদীন, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহা, কথা প্রকাশের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাতিঘরের প্রধান নির্বাহী জাফর আহমেদ রাশেদ, অন্বয় প্রকাশনের হুমায়ুন কবির ঢালি প্রমুখ যোগ দেন।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের মেলায় ছিল বিশেষ আয়োজন। লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিনের পরিচালনায় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘একটি দেশের জন্য গান’ দেখানো হয় মেলায়। ছিল সাহিত্য আড্ডা ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন।
প্রতিদিনই জমজমাট ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। লাগোর্ডয়া ম্যারিয়ট হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলেও মেলার বাকি দিনগুলো জমমমাট ছিল নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে। সেখানে প্রতিদিনই ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পাঠক-লেখক-প্রকাশকদের সেতুবন্ধনের মধ্য দিয়ে মেলা হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত।
মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বললেন, নানা কারণে মেলাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সাংবাদিক ও লেখক হাসান ফেরদৌস জানালেন, ৩০তম মেলাটির মধ্য দিয়ে যেন কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল জ্যাকসন হাইটস। কেবল নিউইয়র্ক নয়, অন্য স্টেট থেকেও অনেক পাঠক সমাগম হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মেলাটি অনেক সফল হয়েছে।
ঢাকা থেকে যোগ দেয়া জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর মেলার ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, দেশের বাইরে এটাই সবচেয়ে বড় আয়োজন। মানুষের অংশগ্রহণ দেখে আমি রীতিমতো অভিভুত।
পাঁচ দিনের এ মেলায় সংগীত পরিবেশন করেছেন শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, কাদেরী কিবরিয়া, শহীদ হাসান, কাবেরি দাশ, নবনিতা চৌধুরী, শাহ মাহবুব এবং পারমিতা মুমু। এবার ভারতীয় উপমহাদেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে মুক্তধারা-জিএফবি পুরস্কার দেয়া হয়।