স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডেতে সুযোগ ছিল হোয়াইটওয়াশ করার। কিন্তু শেষ ম্যাচে টাইগাররা ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকলেও ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সকল বিভাগেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টিম টাইগার্স। তাই সমতা নিয়ে শেষ করতে হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
শনিবার (৫ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ৩টায়। সরাসরি দেখাচ্ছে গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬১ রানে জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে জিতলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথমারের মতো সিরিজে জয় পেতো বাংলাদেশ। এ ম্যাচটি টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের শততম ম্যাচ। এ ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তাদের এতসব কীর্তির দিনটিকে স্মরণীয় করতে পারেনি টিম টাইগার্স।
টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ে বিশাল অবদান ছিল বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও। হযরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান গনির তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন তারা। ১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে নাসুমের বলে ক্যাচ তুলে দেন জাজাই। অনেক সময় পেয়ে বলের নিচে গিয়েও শেষ মুহূর্তে হাত ফস্কে যায় তার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্ধশতকে পাশাপাশি দলের জয়েও ভূমিকা রাখেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারে জাজাই বেঁচে গেলেও পরের ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। শেখ মেহেদীর বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর একাধিক সুযোগ পেয়ে দলকে টানতে থাকেন জাজাই আর ঘানি। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জন গড়েন ৯৯ রানের জুটি। এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ দল।
শেষদিকে সুযোগ পেলেও অর্ধশত করতে পারেননি ঘানি। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে ৫টি চার আও ১ ছয়ে ৪৮ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে অর্ধশতকের স্বাদ পান জাজাই। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৩টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাজাই। সঙ্গে দারউইশ রাসুলির ৮ বলে অপরাজিত ৯ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী আর মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বল্প রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরু থেকেই উচ্চবিলাসী শট খেলার প্রবণতায় নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলীয় ৭ রানে আগের ম্যাচের অভিষিক্ত মুনিম মোহাম্মদ নবীর বলে শরফুদ্দিন আশরাফকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা লিটন দাসকে দলীয় ২২ রানে ফেরান আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। তিনি করেন ১০ বল থেকে ১৩ রান। লিটনের বিদায়ের ১৬ রান পর রানআউটের ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ নাইম। তিনি ১৯ বল থেকে করেন মাত্র ১৩ রান। নাইমের বিদায়ের ৭ রান পর আজমাতুল্লাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। তখন দলীয় স্কোর ৪৫ রান।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ৪৩ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দলীয় ৮৮ রানে রশিদ খানে শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তার আগে তিনি ১৪ বল থেকে করেন ২১ রান। অধিনায়কের বিদায়ের ১১ রান পরই ফিরে যান শততম ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহীম। তিনি ২৫ বল থেকে করেন ৩০ রান। মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান মেহেদী হাসান, আফিফ ও শরিফুল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে সংগ্রহ করে ১১৫ রান।
আফগানিস্তানের হয়ে ফজলহক ফারুকি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই ৩টি করে এবং মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান একটি করে উইকেট লাভ করেন।