বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে জিততে শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের। ক্রিজে ইমাদ ওয়াসিম ও আন্দ্রেয়াস গৌস। রয়্যালসের বোলার শেরফানে রাদারফোর্ড শেষ ওভারের প্রথম ৫ বলে ১০ রান দিলেও পঞ্চম বলে ইমাদকে আউট করেন। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার ছিল ফ্যালকনসের। শামার স্প্রিঙ্গার নেমে ম্যাচটা আর সুপার ওভারে যেতে দেননি। ২টি রান নিয়ে ফ্যালকনসকে শেষ বলে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন স্প্রিঙ্গার। ব্রিজটাউনে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচে ফ্যালকনসের হয়ে ব্যাটে-বলে ভালো করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান তোলা বার্বাডোজের বিপক্ষে বল হাতে ৩ ওভারে ৩৩ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। পাঁচে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন। সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই অবশ্য ফিফটি পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু আজ প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। তবে ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্লে–অফে খেলার সুবাস পাচ্ছে ছয় দলের টেবিলে তৃতীয় ফ্যালকনস।
বার্বাডোজের দুই খেলোয়াড় এ ম্যাচে ছয়টি ক্যাচ ছাড়েন। ৬৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন বার্বাডোজের ওপেনার ব্রান্ডন কিং। রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে ২৯ এবং ২৭ রান করেন কুইন্টন ডি কক। ফ্যালকনসের পক্ষে ১৩ রানে ২ উইকেট নেন পেসার সালমান ইরশাদ। বার্বাডোজের ইনিংসে ৯ম ওভারে আক্রমণে এসে দুটি চার হজম করে মোট ১২ রান দেন সাকিব। ইনিংসের ১১তম ও নিজের পরের ওভারে দেন ৬ রান। ইনিংসের ১৩তম ওভারে এক ছক্কা, দুই চারসহ মোট ১৫ রান দেওয়া সাকিবকে এরপর আর বোলিংয়ে আনেনি ফ্যালকনস অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম। ফ্যালকনসের পক্ষে ৫৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার গৌস। আরেক ওপেনার আমির জাঙ্গু করেন ১৪ বলে ২৩ রান। ২৬ রান করেন কেভিন উইকহ্যাম। ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন বার্বাডোজের পেসার ড্যানিয়েল স্যামস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বার্বাডোজ রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৮৭/৪ (কিং ৯৮*, রাদারফোর্ড ২৯, ডি কক ২৭, গ্রিন ১৬*; সালমান ২/১৩, ম্যাকয় ১/৪৬)।
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস: ২০ ওভারে ১৮৮/৬ (গৌস ৮৫*, উইকহ্যাম ২৬, জাঙ্গু ২৩, ইমাদ ১৭, সাকিব ১৫; স্যামস ৩/২৯, ইথান ১/২৯, সাইমন্ডস ১/৩৭)।
ফল: ফ্যালকনস ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সালমান ইরশাদ (ফ্যালকনস)।