অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, শুধু অ্যাওয়ার্ড নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাননি, সেখানে আরও কিছু উপলক্ষ্য ছিলো।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈঠকটা যে ঐতিহাসিক, এটা প্রথম বলেছেন জনাব তারেক রহমান। উনি মিটিং শেষে ওনার নেতৃবৃন্দের সমানে, আমাদের সামনে বলেছেন যে, এটা একটা ঐতিহাসিক মিটিং ছিলো, এটা আপনারা সবাইকে জানাবেন।’
‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা সব সময় চালু আছে। বিভিন্ন ইস্যুতে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোকে যখন আমন্ত্রণ জানানে হয়েছে কিংবা তারা নিজেরা যখন আগ্রহ ব্যক্ত করেছে, সে আলোচনাটা কিন্তু হয়েছে।’
উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য যারা, তারা আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। যিনি বিনএপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দলটির নেতৃত্বে দিচ্ছেন, তার সাথে যদি আলোচনায় একটি সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে সেই আলেচনা না হওয়ার তো কোনে কারণ নেই। কারণ, এটি একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠকটি প্রধান অগ্রাধিকারে (প্রায়োরিটি) ছিলো কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রায়োরিটি তো অনেকগুলে ছিলো। রাজনৈতিক প্রায়োরিটি বিবেচনা করলে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রায়োরিটিগুলোর মধ্যে একটা। আবার এই সফরে অর্থনৈতিক প্রায়োরিটি হিসেবে এ্যাসেট রিকভারি একটা প্রায়োরিটি ছিলো।’
যুক্তরাজ্য সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ডটা আমাদের আরো কিছু কাজের উপলক্ষ্য তৈরি করে দিয়েছে। যে কাজগুলোও ছিল সমানভাবে জরুরি। শুধু অ্যাওয়ার্ড নেওয়ার জন্য হলে, হয়তো উনি (প্রধান উপদেষ্টা) নাও যেতে পারতেন। কিন্তু যেহেতু অ্যাওয়ার্ডটি আমাদের আরো কিছু কাজের উপলক্ষ্য তৈরি করে দিয়েছে, এবং আমরা মনে করেছি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতি সেই কাজগুলোকে বেগবান করবে। তো আমরা এই সুযোগটা নিতে চেয়েছি এবং কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’