জানা অজানা ডেস্ক, আজনিউজ২৪: বাদাম খেলেই ওজন বাড়ে , এই ধারণা একদমই ভুল। আকারে ছোট হলেও বাদাম বিভিন্ন খনিজ এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। যা শীতের মৌসুমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলে।
বাদাম খেলেই ওজন বাড়ে, এই ধারণা একদমই ভুল। আকারে ছোট হলেও বাদাম বিভিন্ন খনিজ এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। যা শীতের মৌসুমে শরীরের তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলে। করোনা আবহে ইমিউনিটি বাড়াতে অনেকেই তাদের ডায়েটের পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু আপনার ডায়েটে বাদাম রয়েছে কি? কোন বাদাম কতটা খাবেন জেনে নিন।
আমন্ড বা কাঠবাদাম:
শীতের দিনে চারটি করে কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যেস করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভিজিয়ে রেখে এবং সকাল বেলায় উঠে খালি পেটে খান। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই, এ, বি ১, বি ৬, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম। যা চুল এবং ত্বক দুইটার জন্যই ভালো। কাঠবাদাম রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতন জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও এনার্জি বুস্ট আপ করে কাঠবাদাম। পড়াশোনা মনে রাখার জন্য বাচ্চাদের প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
আখরোট:
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট রয়েছে যা ত্বকের আর্দ্রতা সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিনের খাবার যেমন- সালাদ, কেক, কুকিস বা বিকেলের স্ন্যাক্স-এর মধ্যে আখরোট রাখুন।
কাজু বাদাম:
কাজু বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় সঠিক। কিন্তু প্রত্যেক দিন পরিমিত মাত্রায় খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকে। শীতকালে দিনে দু-তিনটি কাজুবাদাম খাওয়া খুবই ভাল। শরীর গরম থাকার পাশাপাশি কাজ করার এনার্জি বেড়ে যায়। তবে কাজু বরফি এড়িয়ে চলুন বরং সুজি, চিড়ের পোলাও বা পায়েস রান্নায় কাজুর ব্যবহার করতে পারেন।
চিনাবাদাম:
চিনাবাদাম আমাদের সবারই পছন্দের একটি খাবার। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, খনিজ ও ভিটামিন গুলো সঠিক মাত্রায় থাকায় কার্ডিওভাসকুলার, কোলেস্টেরল এমনকি ক্যানসারের মতন কঠিন রোগগুলি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শীতের মৌসুমে অনেকেই পাউরুটির সঙ্গে পিনাট বাটার (চিনাবাদামের মাখন) দিয়ে খেতে ভালবাসেন।
সাদা ও কালো তিল:
সাদা তিলের নাড়ু আমরা সবাই খেয়েছি। সাদা ও কালো তিলের বীজ শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। বাদামের মতন তিলের বীজেও প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ও ভিটামিনস রয়েছে। শীতের দিনে তিলের বীজ খাওয়া খুবই ভাল। শরীরের উষ্ণতা সঠিক রাখা ছাড়াও রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করে।
কুমড়োর বীজ:
এই বীজ ফ্যাটি অ্যাসিড, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি খনিজে সমৃদ্ধ। কুমড়োর বীজে থাকা উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ও ভিটামিনস রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া), কিডনিতে পাথর ও প্রস্টেট জাতীয় জটিল সমস্যা গুলির প্রতিষেধক রূপে কাজ করে। শীতকালে শারীরিক তাপ মাত্রা সঠিক রাখতে এই বীজ খুবই কার্যকর। আপনি বাড়িতেই কুমড়োর বীজ শুকিয়ে নিয়ে গুড়ো করে খেতে পারেন। অথবা হাল্কা ভেজে নিয়ে বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
পেস্তা:
অন্যান্য বাদাম গুলির তুলনায় দাম একটু বেশি হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক। পেস্তা বাদাম খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই পায়েস, অথবা কোনও মিষ্টির উপরে গার্নিশ করতে পেস্তার ব্যবহার হামেশাই চোখে পড়ে। এটি ওজন হ্রাস, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।