আইন ও আদালত ডেস্ক, আজনিউজ২৪: শিশু আইনের লঘু শাস্তির সুযোগে, কিছু বিপথগামী শিশু আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যাতে রাজধানীসহ দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে, কিশোর গ্যাং। বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ শিশুর রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, আদালত। ওই রায়ের কপি চ্যানেল 24 এর হাতে এসেছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, শিশু আইনে বয়স নির্ধারণ নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়টি হত্যাকাণ্ড সব চাইতে আলোচিত, তার মধ্যে অন্যতম বরগুনার রিফাত হত্যা। এ মামলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসামি ১৪ জন। এর মধ্যে গেলো ২৭ অক্টোবর ৬ জনের সর্বোচ্চ সাজা হয় ১০ বছর।
এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে, বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দেন, বরগুনার শিশু আদালত। বলেন, মিন্নি, রিফাত ও নয়ন বন্ডের বিরোধের জোরে ১৪ জন শিশুর পরিবারসহ ২৪ টি পরিবার বিপর্যয়ের মুখোমুখি। বলেন, শিশু আইনে লঘু শাস্তির সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিছু বিপদগামী শিশু। উঠে আসে কিশোর গ্যাংয়ের নির্মম পরিণতির কথা। তবে কী অপরাধ অনুযায়ী সাজা অপর্যাপ্ত হচ্ছে শিশুদের। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, শিশুদের সংশোধনের সুযোগ দেয়ার জন্যই এমন রায়।
রায়ের একটি অংশে আদালত বলেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়া শিশুরা দুধর্ষ ও ভয়ংকর প্রকৃতির হওয়ায়, তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নয়, কারাগারে পাঠানো হলো। পাশের দেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে শিশুদের বয়স নির্ধারণে নতুন আইন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশেও এমন উদ্যোগ নেয়ার সময় এসেছে।
রিফাত হত্যায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর