বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদান রাখায় শিল্পকলা পদক পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকার ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মলয় কুমার ভৌমিক।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তাকে এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নাট্যকলা শাখায় বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখার জন্য তাকে পদক দেওয়া হয়। শিল্পকলা পদক-২০২০ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- কণ্ঠসংগীতে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় শহিদ কবীর, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, লোকসংস্কৃতিতে শাহ আলম সরকার, যন্ত্রসংগীতে মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন ও আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ। এছাড়া সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পদক পাচ্ছে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।
শিল্পকলা পদক পাওয়ায় অনুভূতি জানতে চাইলে অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, পদক পেয়ে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আমি এর আগেও বাংলা একাডেমিক পদক পেয়েছি। পদক পাওয়াতে আমার স্বার্থকতা নিহিত নয়। মানুষকে জাগ্রত করা আমার কাজ সেই কাজটি আজ সারাদেশে ব্যাহত হচ্ছে। হ্যাঁ, পদক আমার প্রেরণার উৎস হতে পারে কিন্তু এ পদক না পেলেও আমার কাজ আমি আজীবন করে যাবো।
তিনি বলেন, আমার সব থেকে বড় পদক হচ্ছে যখন আমি দর্শকদের মুখোমুখি হই এবং শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরি। দর্শকরা যখন সেটির প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ পদক। দর্শকের ভালোবাসার চেয়ে আর বড় পদক হতে পারে না বলে জানান এ অধ্যাপক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের আনন্দের বিষয়। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষকরা পুরস্কার পাচ্ছেন এটা গর্বের। শিক্ষকদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে সবাই যেন জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেন।
অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক এখন পর্যন্ত ৩৫টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বেতারে নিয়মিত নাট্য শিল্পী ছিলেন। তিনি বিটিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে নাট্যকার ও নাট্য শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। তার রচিত টিভি নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আট প্রহরের গল্প, ক্ষরণ, ফেরা ইত্যাদি।
তার রচিত মৌলিক নাটকের সংখ্যা ২৬টি। এছাড়াও তিনি ৩৬টি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি অনুশীলন নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।