শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করে পরিবার-পরিজনসহ মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে অভিযোগ তোলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক । এমপিওভুক্তি সমস্যার সমধান করতে শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ করেন। এসময় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপিও নীতিমালা ২০২১ বাতিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।
ড. ওসমান ফারুক বলেন, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি ও নন-এমপিওভুক্তির যে বিভাজন রয়েছে। আমরা তা চাই না। একদল শিক্ষক সরকারি বেতন পাবেন আরেক দল পাবেন না। তা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। যারা নন এমপিওভুক্তির শিক্ষক রয়েছেন তারা কি কম শিক্ষিত এবং তারা কি ছাত্রদের শিক্ষা দেন না। অথচ একই সিলেবাসে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং তাদের মধ্যে কেন বিভাজন থাকবে। এ বিভাজন যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দবিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ জাকির হোসেন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন স্বীকৃতি পাওয়া সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন করে আসছি। বিগত সরকারের আমলে অনেক প্রতিষ্ঠান বিশেষ ক্ষমতায় এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অথচ সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি ছিল আমাদের। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘকাল এমপিওভুক্তি না দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সব নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত ঘোষণা করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম। দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. ইমরান বিন সোলায়মান, অধ্যক্ষ মজনু মোহাম্মদ প্রামাণিক, অধ্যক্ষ পল্লব কুমার দে, অধ্যক্ষ সালেহউজ্জামান চৌধুরী রাজন, শিক্ষক মো. কবির উদ্দিন, হাওলাদার মো. আবুল কালাম আজাদ, ফয়সাল ইবনে মোস্তফা, শাহনাজ ইসলাম মুক্তা, প্রধান শিক্ষক মো. পনির উদ্দিন প্রমুখ।