৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার কিছু পরেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
সকাল ৮টার থেকেই আবাসিক হলগুলোতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোতে প্রস্তুতি নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে তাঁরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফটক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেন।
আজ সকালেই ভোট দিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী এস এম হামিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘ভোট শুরুর প্রথম দিকেই এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। প্রায় ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর ভোট দিতে পেরেছি।’
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে গিয়ে দেখা যায়, হলের কমনরুমে ভোটগ্রহণ চলছে। ৪-৫ জনকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে কেন্দ্রটিতে প্রার্থীদের কোনো পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। ভোটারদের হাতের আঙ্গুলে অমোচনীয় কালির দাগ দিয়ে দিচ্ছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
সকাল ১০টায় হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা শিবলী নোমান বলেন, সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ১৯ জন ভোট দিয়েছেন। আপাতত উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে। ভোর রাতে আমাদের জানানো হয় প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট থাকবে। কিন্তু তাঁরা কীভাবে থাকবেন সে বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াটি নির্বাচনকে অগোছালো করে তুলেছে।