নরসিংদী প্রতিনিধিঃ বাংলার ম্যানচেষ্টার নামে খ্যাত নরসিংদীর বাবুরহাট করোনা ভাইরাসের কারনে শর্ত সাপেে খুলে দেওয়া হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে বন্ধ করে দেওয়া হবে বাবুরহাট। নরসিংদী জেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে শিলমান্দী ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়ের বাজার বাবুরহাট। ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন এ হাটে প্রায় হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ৯ই এপ্রিল থেকে জেলা লকডাউন করার পর বাবুর হাট বাজার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে সারা দেশসহ বহিরাবির্শ্বেও।
জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত কাপড় ব্যবসায়ী ও হাজার হাজার শ্রমিক। বাবুরহাটে গামছা, লুঙ্গী, কাপড়, থ্রী-পিছ, প্যান্ট পিছ, শার্ট পিছ সহ বিভিন্ন পসরার নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়ের চাহিদা রয়েছে। মূলতঃ বাবুরহাট পাইকারী কাপড়ের বাজার। এ বাজার থেকে সারা দেশে কাপড় রপ্তানী করে দেশের বাইরেও রপ্তানী করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে পাইকারী ক্রেতারা এসে কিনে নিয়ে যেত। কিন্তুু কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারনে বর্তমানে বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শ্রমিকরা হয়ে পড়েছে বেকার। অপরদিকে, পাইকারী কাপড়ের ব্যবসায়ীদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সুদ গুনতে হচ্ছে।
কভিড- ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানান, শর্ত সাপেে দেশের বৃহত্তম কাপড়ের বাজার বাবুরহাট খুলে দেওয়া হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক বাবুরহাট বাজার পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনা করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। তবে ৩ জনের বেশি ক্রেতা/বিক্রেতা কোন দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। হাটকে মনিটরিং করার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বনিক নিয়োজিত থাকবে।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির জানান, আমাদের এই অঞ্চলে সারা বাংলাদেশের ইকোনমিক লাইফ লাইন। বিশেষ করে ুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্থানীয় কাপড়ের। শাড়ি, লুঙ্গী, থ্রি পিছ, বেডশিট, গামছা নিত্যপ্রয়োজনীয় আমাদের কাপড়, সারা বছর যে বেচাকেনা হয় ঈদের একমাস আগে থেকে রমজান মাসে ১৫ রোজা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। এবার লকডাউনের কারনে আমাদের ওই সময়টা পার হয়ে গেছে। চেম্বার অব কমার্স ও বাবুরহাট বণিক সমিতির আবেদনের প্রেেিত শুধুমাত্র পন্য অনলাইনে বেচাকেনা করা হবে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক শর্ত সাপেে হাট খোলা থাকবে অন্যথায় পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যারা পাইকারি ব্যবসা করছেন তাদের অনলাইন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। কিন্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য কোন অনলাইন প্রক্রিয়া এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি। তিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। লাভবান হচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
শর্ত সাপেে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সর্ব বৃহৎ কাপড়ের বাজার বাবুরহাট
ঢাকা
0 Views