ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: লিবিয়ায় মানব পাচারের জন্য বিমান ও স্থল পথ মিলিয়ে ব্যবহার করছে চারটি রুট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মিশর, আরব আমিরাত ও বাংলাদেশে বসেই চালাচ্ছে অভিবাসনের নামে মানবপাচার।
এমন তথ্য উঠে এসেছে চ্যানেল 24 এর অনুসন্ধানে। যারা স্বীকার করেছেন ঢাকা-দুবাই ভিজিট ভিসার মাধ্যমে লিবিয়া নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিদের। রিক্রটিং এজেন্সি নয়, পরিবারের সদস্যদের দিয়ে জোগার করা হয় লোক।
ক্যাম্পে কেমন আছে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় যাওয়া মানুষগুলো সেই খোঁজ নিচ্ছিলেন দালাল। চ্যানেল 24 এর কাছেস্বীকার করেন, ২০১৭ সালে শ্রমিক হিসেবে লিবিয়া গিয়ে কীভাবে জড়িয়ে পড়েন মানবপাচারে।
দালালের দেয়া তথ্যে ফেইসবুকে মিললো ঢাকা থেকে দুবাই যাবার নানা চটকদার অফার। যাতে বলা হচ্ছে, দেশটিতে ভিজিট ভিসার খরচ লাগবে ১৬ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গ্রামের বাড়িতে আত্নীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জোগাড় করা হয় বিদেশ যেতে ইচ্ছুক সহজ-সরল মানুষগুলোকে।
দালালদের ভাষায় গেইম। দেশ থেকে শুরুতে তাদের নেয়া হয় দুবাই। তারপর লিবিয়া। মোট চারটি রুটে লিবিয়া পৌঁছান তারা। তার স্বীকারোক্তি ১০ জন দিয়ে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত পাচার করেছেন শ’খানেক মানুষ। অন্য দুই দালালও নিয়েছেন অন্তত ৭০ জন করে।
দালালদের ভাষ্য শুধু লিবিয়ার বেনগাজিতেই বাংলাদেশিরা পরিচালনা করছে ৯টি ক্যাম্প। ছোটখাটো আছে আরও শতাধিক। এসব ক্যাম্পের মূল হোতা নোয়াখালীর কাজী ইসমাইল আলম, সিলেটের আশরাফুল আলম, কুমিল্লার শরিফ, মাদারিপুরের কালাম।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এসব মাফিয়াদের দৌরাত্ম মিশর, দুবাই ও বাংলাদেশে। মূলত হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করা হলেও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে একাধিক ব্যাংকের নামও।
আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর দাবি, অস্থিতিশীল লিবিয়াতে মানবপাচারের সুযোগ করে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদিরাও। অভিবাসনের নামে মানবপাচারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
লিবিয়া থেকে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে কাঠের নৌকা, ফাইবার ও হাওয়ার বোট ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন দালালরা। সূত্র : চ্যানেল 24

