লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ও অন্যান্য স্থাপনা। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া শহরের মেডিকেল পরীক্ষক জানিয়েছেন, দাবানলে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আলাদা ছয়টি দাবানলের মধ্যে বেশ কয়েকটি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শুষ্ক আবহাওয়া, হারিকেনের গতির বাতাস, এবং পানি সরবরাহের সংকটের কারণে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ছয়টি অঙ্গরাজ্য থেকে ফায়ার ফাইটারদের ডাকা হয়েছে।
দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রায় দুই লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ফায়ার ফাইটাররা মূলত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেয়ে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন, যা হতাহতের সংখ্যা কম রাখতে সহায়তা করেছে।
আগুন লস অ্যাঞ্জেলেসের বিখ্যাত হলিউড এলাকায় পৌঁছেছে। কয়েকজন তারকার বাড়ি পুড়ে গেছে, আর হলিউড সাইনবোর্ডের কাছাকাছি আগুন ছড়িয়ে পড়ায় শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশি বাসিন্দারা আপাতত নিরাপদে থাকলেও তাদের মধ্যেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ক্যাথরিন বার্গার সতর্ক করে বলেছেন, চরম সংকটের মধ্যেও যারা লুটপাট করছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউজ থেকে বিশেষ ফেডারেল তহবিল বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ইতালি সফর বাতিল করেছেন।