সাজ্জাদুর রহমান ফরহাদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় টুমচর ইউনিয়নে সাড়ে ৪ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তড়িগড়ি করে রাতের অন্ধকারেও নির্মাণাধীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার রিপন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ফিরোজ, আনোয়ার, সবুজ, মোস্তাফিজ, করিম, হেদায়েত উল্ল্যা বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে এলজিইডির মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরে সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের টুমচর রাস্তা মাথা থেকে হাবিল্লার বাপের গোজা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করে ঠিকাদার রিপন।
রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। নতুন ইট দিয়ে এজেন্ট তৈয়ারী কথা থাকলেও রাস্তার দুই পাশের এজেন্টে থাকা পূর্বের ইট দিয়ে পূর্ণরায় নতুন এজেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তায় পিচ–ঢালাইয়ের আগে ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয়নি। খড় ও ময়লার ওপর অল্প পরিমাণে বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। বিটামিন ব্যবহার না করে আলকাতরা ব্যবহার করার অভিযোগ। ১ ইঞ্চি কার্পেটিং দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়ার হচ্ছে আধা ইঞ্চি। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রিপন হোসেন দাবি করেন গ্রামের এ রাস্তা দিয়ে ভারীযানবাহন ৪০ টনের ট্রাক, ট্রলি, ট্রাকট্টর চলাচল করে ১ ইঞ্চি কার্পেটিংয়ের কাজ বেশি দিন টিকবে কিনা আমার জানা নেই। তবে পুরাতন এজেন্ট আমি ক্রয় করে নিয়েছি । বর্তমান ইটের চেয়েও আগের ইট অনেক টেকসই তাই লাগিয়েছি। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করে কার্পেটিং করার অস্বীকার করেন তিনি। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার স্বল্প টাকায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গআ
লক্ষ্মীপুর জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম পাটওয়ারী বলেন, এক ইঞ্চি কার্পেটিং করার কথা কিন্তু যদি আধা ইঞ্চি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিটামিনের জাগায় আলকাতরা ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। স্বল্প টাকা দিয়ে ভালো মানের কাজ করা যায়না। বরাদ্দ বেশি হলে টেকসই উন্নতমানের নির্মাণ কাজ করা সম্ভব।