রাজধানী ডেস্ক: রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বাত্মক জোরদার রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির তৃতীয় বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মিয়ানামার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।
আসাদুজ্জামান বলেন, মিয়ানামার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনই সরকারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এজন্য জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। প্রত্যাবাসন কিভাবে করা হবে; সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এছাড়ার মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থাকবে সরকার বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় পুলিশ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তবে ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী টহল থাকবে।
এরআগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জাতিসংঘ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি ১৮০টি এনজিও কাজ করছে। ভাসানচরেও ইতোমধ্যে ২২টি এনজিও কাজ শুরু করেছে। কিছু নিষিদ্ধ এনজিও এবং অনিবন্ধিত কোনো এনজিও ক্যাম্পগুলোতে কাজ করতে পারবে না মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ১৩৪টি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র ও ৫৪৯৫টি শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের মিয়ানমারের ভাষা এবং ইংরেজি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আগমনে ক্যাম্প এলাকায় বনায়ন ধ্বংস হয়ে যায়। এজন্য সেখানে বৃক্ষ ও ঘাস রোপণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।