রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমতে পারে। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতিমধ্যে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিকে চিঠির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রেস্তোরাঁর বিলের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কত কমানো হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
৯ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করে শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানো হয়। সেই তালিকায় রেস্তোরাঁও ছিল।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রেস্তোরাঁমালিকেরা। বর্ধিত ভ্যাটের হারের উদ্যোগ থেকে পিছিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে ভ্যাটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয় মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।
রেস্তোরাঁ ব্যবসার চিত্র
এক দশক আগেও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁ সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। পর্যায়ক্রমে তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে সোয়া পাঁচ লাখ রেস্তোরাঁ আছে। গত এক দশকে রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এখন শহর এলাকায় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আধুনিক এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের দোকান হচ্ছে। বেড়েছে ফাস্ট ফুডের দোকান। এ ছাড়া তরুণদের মধ্যে রেস্তোরাঁয় খাওয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও পরিবার-পরিজন নিয়ে রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুডে খাবার খেতে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
রেস্তোরাঁ সেবা খাত থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের ১৯১ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় হয়। এর পর থেকে ভ্যাট আদায় বাড়তে থাকে। সার্বিকভাবে রেস্তোরাঁসেবা থেকে প্রতিবছর ২০০-২৫০ কোটি টাকা ভ্যাট পায় এনবিআর। নতুন করে ভ্যাটের হার বাড়ানোর ফলে ভ্যাট আদায় দ্বিগুণ হতে পারে বলে মনে করেন ভ্যাট কর্মকর্তারা।