ইকোনমিক ডেস্ক: অর্থনীতিতে এখন বড় দুশ্চিন্তা বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ও সংরক্ষণ। কারণ, বছর ব্যবধানে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি আর প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় খোয়া গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। আর এই প্রবণতার লাগাম টানতে নানামুখী উদ্যোগ আসে আমদানি কমানোর। যার ফলও মিলেছে নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জুলাই মাসে আমদানি হয়েছে ৫৪৭ কোটি ডলারের পণ্য। যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় তিনভাগের একভাগ কম। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে এই লক্ষণ খানিকটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে অর্থনীতিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কিন্তু ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি এলসির অ্যামাউন্ট যাতে কমানো যায়। আগে যেটা ছিল ৫ মিলিয়ন এখন সেটা কমিয়ে এনেছি ৩ মিলিয়নে। যে কোনও এলসি খুলতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে সবশেষ অর্থবছরে আমদানি বাবদ ব্যয় হয় সোয়া ৮ হাজার কোটি ডলার। যা এক বছরের ব্যবধানে বাড়ে ৩৬ শতাংশ। এই হারে ব্যয় বাড়তে থাকলে সঙ্কট তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতে এমন চিন্তা থেকেই সাময়িকভাবে আমদানি নিরুৎসাহিত করে সরকার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি কমাতে গিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যাতে ক্ষতিতে না পড়ে লক্ষ্য রাখতে হবে সেদিকে।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যে রপ্তানি করছি সেটা যাতে কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। আমাদের রপ্তানি যেটা হচ্ছে তার পুরো টাকাটাই যাতে আমাদের এখানে আসে। আমাদেরকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে টাকা যেটা আসছে সেটা যাতে কোনও স্পিকুলেশনের জন্য ব্যবহৃত না হয়।
আমদানি ব্যয় কমার বিপরীতে একই সময়ে স্বস্তি দিয়েছে প্রবাসী আয়। সেটা ধরে রাখতে কার্যকর উদ্যোগ আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।