দেশের বহির্বাণিজ্য খাতের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস রপ্তানি। যা খানিকটা ছন্দ হারিয়েছিল করোনার কারণে। কিন্তু সবশেষ অর্থবছরের রেকর্ড আয় সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে কম-বেশি।
ইপিবির হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে রপ্তানি আয় এসেছে ৫২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যা বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
রপ্তানি আয়ের রেকর্ডের পেছনে বড় কারণ, করোনার পর বৈশ্বিক চাহিদায় ইতিবাচক পরিবর্তন। যার ফলে কেবল পোশাক খাতেই আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে। অন্যদিকে বেশ কয়েক বছর ধুঁকতে থাকা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিও এবার ছুঁয়েছে সোয়া এক বিলিয়ন ডলারের ঘর। তবে আয় বৃদ্ধির বিপরীতে বড় সঙ্কটের জায়গা ছিল চড়া আমদানি ব্যয়। ফলে মূল্য সংযোজনের প্রশ্নে এমন অবস্থাকে স্বস্তির মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা।
সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, রপ্তানি যেহেতু আমরা পরিমাণ দিয়ে মানিয়ে চলছি, কিন্তু এটা আগামী দিনে কতটুকু টেকসই হবে। রপ্তানি কাঠামেোর যদি পরিবর্তন না আসে, এক পণ্যের ওপর যদি নির্ভরশীলতা না কমে তাহলে এ রপ্তানির পরিমাণ নিয়ে আমাদের খুব বেশি সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।
রপ্তানিতে রেকর্ড হলেও সবশেষ অর্থবছরে প্রায় ১৫ শতাংশ কমেছে প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই খাত থেকে দেশে এসেছে ২১ বিলিয়ন ডলার। যদিও একই সময়ে বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সোয়া ৬ লাখ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুদ্রা পাঠানোর অতিরিক্ত খরচ আর ব্যাংকের সাথে খোলা বাজারে ডলারের দরের বড় পার্থক্য আয় কমার পেছনে বড় কারণ।
২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা সংকটের মধ্যেই রেকর্ড ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে।