হেল্থ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা থেকে রবিবার (১৩ জুন) সকাল ৯টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে ছয়জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। অন্যজনের বাড়ি নওগাঁয়। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে রাজশাহী ও নওগাঁর দুজন করে এবং একজন করে নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার। তাদের মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ১৩ জনের মধ্যে হাসপাতালের আইসিইউতে চারজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন, ১৬ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে এবং ১ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
উপপরিচালক বলেন, ২৭১ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ২৯৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন। করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৪১ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১১৭ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৩৬ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এই একদিনে হাসাপাতাল ছেড়েছেন ৩৫ জন।
শনিবার (১২ জুন) রামেক হাসপাতালের ল্যাবে ১৮৮ জনের এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৪৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ১০৮ ও রামেক পিসিআর ল্যাবে ১২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় নওগাঁর ৫০ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং নাটোরের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ করোনা ধরা পড়েছে।
এর আগে গত ২৪ মে ১০ জন, ২৫ মে চারজন, ২৬ মে চারজন, ২৭ মে চারজন, ২৮ মে ৯ জন, ৩০ মে ১২ জন, ৩১ মে চারজন, ১ জুন সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন ৯ জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন সাতজন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন এবং ১২ জুন চারজন রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন।