যত সময় গড়াচ্ছে ততই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে বিপিএল। সেই সঙ্গে প্লে অফ পর্ব বা সেরা চারে পৌঁছানোর লড়াইও জমজমাট হয়ে উঠেছে। কোন ৪ দল খেলবে প্লে অফ পর্বে? তা নিয়ে রাজ্যের কৌতূহল, গুঞ্জন।
এছাড়া আরও দুটি কৌতূহলী প্রশ্ন অনেকের মুখেই ঘুরপাক খাচ্ছে, কে হবেন বিপিএলের টপ স্কোরার? সর্বাধকি উইকেট শিকারিই বা হবেন কে?
প্রচুর ওঠা-নামার পালা চলছে।
দেশ ও বিশ্বসেরা সাকিবের ব্যাট যেন খোলা তরবারি। শেষ দুটি ম্যাচ ছাড়া প্রায় সব কটায় সাকিব দুর্দান্ত খেলেছেন। একদম সাবলীল, স্বাচ্ছন্দ্যে যাকে তাকে যেখান দিয়ে খুশি চার ও ছক্কা হাকাচ্ছেন সাকিব।
রান তোলায়ও এ মুহূর্তে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সবার ওপরে।
এ বাঁহাতি অলরাউন্ডারের নামের পাশে ৭ খেলায় যোগ হয়েছে ৩০৪ রান।
শুধু রান তোলায়ই নয় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়ও সাকিব সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে। দেশি ও বিদেশি সবাইকে টপকে ১৯২.৪০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে রানের ফলগুধারা বইয়ে দিচ্ছেন সব্যসাচী সাকিব।
তারই দলের পাকিস্তানি উইলোবাজ ইফতেখার আহমেদ (১৭৭.২৭), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আরেক পাকিস্তানি খুশদিল শাহ ( ১৭১.৫৯), সিলেট স্ট্রাইকার্সের তরুণ টপঅর্ডার তৌহিদ হৃদয় (১৬৪.৪৬) এবং জাকির হাসান (১৫৯.৪২)- সবার চেয়ে সাকিবের স্ট্রাইকরেট বেশি।
রান সংগ্রহে সাকিবের ঠিক পরেই অবস্থান নাসির হোসেনের। ঢাকা ডমিনেটরস ক্যাপ্টেন ৮ খেলায় ২৯১ রান করে রান তোলায় দ্বিতীয়।
এবার বিপিএলে রান করাই শুধু নয়, নাসিরের বৃহস্পতি যেন তুঙ্গে। তার ব্যাট ও বল সমানভাবে জ্বলে উঠছে। ব্যাট ও বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে এ মুহূর্তে বিপিএলের সেরা অলরাউন্ডার বনে গেছেন নাসির। রান তোলায় দু নম্বরে থাকা নাসির উইকেট শিকারেও দ্বিতীয় অবস্থানে। ৮ খেলায় তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ১১ উইকেট। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ উইকেট শিকারি খুলনার ওয়াহাব রিয়াজ আছেন সবার ওপরে। নাসিরের ঠিক পেছনে অবস্থান ঢাকার দুই পেসার আল আমিন হোসেন (৬ খেলায় ১০) ও তাসকিন আহমেদের (৭ খেলায় ১০)।
তাদের পেছনে নিঃশ্বাস ফেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের তিন পেসার- মাশরাফি, মোহাম্মদ আমির ও রেজাউর রহমান রাজা (প্রত্যেকে ৮টি করে উইকেট)। এর মধ্যে মাশরাফি আর আমির সমান ৭ খেলায় ৯ উইকেট পেলেও তরুণ রাজা ৯ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন অনেক কম ৫ ম্যাচ খেলে।
উইকেট শিকারে অনেক পেছনে সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রান তোলায় সবার ওপরে জায়গা করে নিলেও মাত্র ৪ উইকেট পাওয়ায় উইকেট শিকারে অনেক নিচে তার অবস্থান।