রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চান ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। গত আইপিএল শেষ হওয়ার পরপরই তিনি নিজের এই ইচ্ছা রাজস্থান ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। আগামী মৌসুমের আগে নিজেকে নিলামে তুলতে চান স্যামসন।
গত জুনে রাজস্থান রয়্যালসের মৌসুমপরবর্তী রিভিউ মিটিংয়ে স্যামসনের দল ছাড়া নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ম্যানেজমেন্ট তাঁকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মনোজ বাদালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। স্যামসনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদালে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজির সামনে এখন বিকল্প দুটি। হয় স্যামসনকে অন্য কোনো দলে ‘ট্রেড’ করে দেওয়া হবে, না হয় তাঁকে সরাসরি আইপিএল এর নিলামে ছাড়া। ট্রেড হলে সেটা হতে পারে নগদ অর্থে বা খেলোয়াড় অদলবদল করে। ৩০ বছর বয়সী স্যামসন ২০১৩ সালে রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দেন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত খেলেন। পরে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে দুই মৌসুম খেলে ২০১৮ সালে আবার রাজস্থানে ফেরেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি দলের অধিনায়ক।
২০২২ সালে তাঁর নেতৃত্বেই রাজস্থান ২০০৮ সালের পর প্রথমবার ফাইনালে ওঠে। তবে সর্বশেষ ২০২৫ মৌসুমে চোটের কারণে তিনি মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করেন রায়ান পরাগ। দলটি মাত্র চারটি ম্যাচ জিতে গত মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানে থেকে শেষ করে। ২০২৫ সালের মেগা নিলামের আগে রাজস্থান যে ছয়জন খেলোয়াড়কে রিটেইন করেছিল, স্যামসন ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তখন তাঁর রিটেনশন মূল্য ছিল ১৮ কোটি রুপি।
অন্য পাঁচজন ছিলেন—যশস্বী জয়সওয়াল, রায়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল, সন্দীপ শর্মা ও শিমরন হেটমায়ার। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাজস্থান তখন জস বাটলার ও যুজবেন্দ্র চাহালকে ছেড়ে দেয়, অথচ এই দুজনই রাজস্থানের নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন।
আইপিএলের রিটেনশন ডেডলাইন নভেম্বর মাসে, অর্থাৎ স্যামসনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজস্থানের হাতে এখনো প্রায় দুই মাস সময় আছে।
বর্তমানে স্যামসন এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর আগে তিনি কেরালা ক্রিকেট লিগে কোচি ব্লু টাইগার্সের হয়ে খেলবেন। দলটি তাঁকে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২৮ লাখ ৮০ হাজার রুপিতে দলে নিয়েছে।