রাজশাহী প্রতিনিধি ডেস্ক, আজনিউজ২৪: রাজশাহীর বাঘায় আমবাগানে আশ্রয় নেওয়া অতিথি পাখিদের বাসা ভাড়া দেয়া ও দেখভালের জন্য পাঁচ বাগান মালিককে ৩ লাখ টাকা দিচ্ছে সরকার। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অধিদপ্তর এসব হাজার হাজার শামুকখোল পাখিকে তাড়িয়ে না দিয়ে দেখভালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাইকোর্টের রুল জারির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বন অধিদফতর।
অতিথি পাখি শামুকখোল। পাঁচ বছর ধরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানকে বেছে নিয়েছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে। তাদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে চারপাশ। অনেকে মুগ্ধ হয়ে ছুটে আসেন এখানে।
তবে পাখিদের বসবাসের কারণে কয়েক বছর ধরে বাগানে আম উৎপাদন হচ্ছে না এমন অজুহাতে বাগান মালিকরা পাখিদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পাখিগুলোকে তাড়িয়ে না দেওয়ার অনুরোধ জানায় এলাকাবাসী। এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এক আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩৮টি গাছে বাসা বাঁধা শামুকখোল পাখির বাগানটিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা দেন।
এক বাগান মালিক বলেন, সরকার আমাদের সহযোগিতার চিন্তা করেছিল। এই বছর এসে আমরা টাকা পাচ্ছি। এ অবস্থায় বন অধিদফতর অভয়ারণ্যের জন্য,পাঁচ বাগান মালিককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রত্যেককে তিন লাখ ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. রাহাত হোসেন বলেন, টাকাটা তাদের দ্রুত দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই আমরা তাকে টাকা দিতে পারব।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে এই বাগানে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি শামুকখোল পাখি আসে। সূত্র : সময় টিভি