আইন ও আদালত ডেস্ক: রাজশাহীতে ২৬ শিশু আসামিকে বিভিন্ন অপরাধের ৩০টি মামলায় সাজা না দিয়ে ভালো কাজ করাসহ ১০টি শর্তে সংশোধনের জন্য প্রবেশনের আদেশ দিয়েছেন- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এই আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫ জন ছেলে ও একজন মেয়ে শিশু রয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মিতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাদক পরিবহন, ধর্ষণচেষ্টাসহ বিভিন্ন লঘুদণ্ডের মামলা ছিল ওই ২৬ শিশু কিশোর-কিশোরীর নামে। তাদের সবারই এটি প্রথম মামলা। তবে আর কোনো দিন এ ধরনের অপরাধে জড়াবে না শপথ পাঠ করেছে তারা। একই সঙ্গে তাদের ভালো কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় কার্যকরের পর এই বিষয়টি জেলা সমাজসেবা প্রবেশনারি অফিসারকে মনিটরিং করতেও বলা হয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মিতা জানান, বিকল্প পন্থায় তাদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশে প্রথম এক সঙ্গে এত বেশি শিশুকে এই রকমের দণ্ড দেওয়া হলো। তাদের মেন্টাল চেঞ্জের কারণেই এমন রায় দিয়েছেন আদালত।
রাজশাহী সমাজসেবা প্রবেশনারী অফিসার মতিনুর রহমান বলেছেন, আদালত একটি ভালো আদেশ দিয়েছেন। আদালত আমাদের ওই শিশুদের অপরাধের ধরণ দেখে ভালো কাজ কী কী করবে? সেটিও ঠিক করতে বলেছেন। এছাড়াও তাদেরকে মাদকে না জড়ানো, বাল্য বিবাহ না করা, পিতা-মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, মারামারিতে না জড়ানো কথা বলেছেন। এটি একটি বিরল রায় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে কখনও এটি হয়নি। রাজশাহীতে প্রথম এই ধরনের রায়ের ব্যবহার হলো। আমার এখন তাদের মনিটরিং করবো ও তাদের আরও ভালো কাজগুলো ঠিক করে দেবো।