রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম হাসমত আলী মণ্ডল (২১)।
গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কুঠিমালিয়াট গ্রামের নিজ এলাকা থেকে হাসমতকে গ্রেপ্তার করে পাংশা মডেল থানার পুলিশ।
এর আগে গত রোববার রাতে ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর মা ও বাবা পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী মণ্ডল (২১) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের দুজনের বাড়ি উপজেলার কুঠিমালিয়াট গ্রামে। মামলার পর রোববার রাতেই অভিযান চালিয়ে শিহাবকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিহাব ও হাসমত দুজনই বেকার তরুণ এবং এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাঁদের একজনের বয়স ১৩ ও অপরজনের বয়স ১৪ বছর।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষ করে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল দুই ছাত্রী। এ সময় তাদের পথরোধ করেন শিহাব ও হাসমত। ওই দুই তরুণ ধারালো ছুরি ও ব্লেড বের করে ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যান। একজনকে একটি বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষে ও অন্যজনকে বিদ্যালয়ের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখান তাঁরা। পরে দুই শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে বিষয়টি পরিবারের কাছে বলে।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। শিহাব মণ্ডলকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাসমত আলীকে আজ মঙ্গলবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে গতকাল দুই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।