নিজস্ব প্রতিবেদক, এইউজেডনিউজ২৪: কোভিড-১৯-এর প্রার্দভাবে গত ২৬ মার্চ থেকে লকডাউনের পরই সারা দেশে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় কর্মহীন হয়ে পড়েন কমপক্ষে ৭০ লাখ শ্রমিক। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে নেই রাজধানীজুড়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো। বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা চাঁদা তুললেও তা শ্রমিক কল্যাণে নয়, চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে। শ্রমিকরা বলছে, বিভিন্ন স্থানের বাস-মালিকদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এসব খেটে খাওয়া শ্রমিকদের কোন খোঁজ খবর তো নেয়া দূরের কথা, এই দূর্যোগ মুহূর্তে একটিবারের জন্য জিজ্ঞেসও করেনি তারা কিভাবে চলছে প্রতিদিনের বাস যানবাহনের এসব শ্রমিকরা। অথচ এই দুর্দিনে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালের চিত্র ছিলো ব্যতিক্রম। বন্ধ থাকা এখানকার বাস টার্মিনালের এক মাসেরও বেশি কর্মহীন শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ালেন মহাখালী বাস টার্মিনালের মালিকরা। সেখানকার শ্রমিকরা মহাখালী টার্মিনালে আটকে থাকা শতশত বাস দেখবাল করার জন্য মালিকপক্ষ তাদেরকে ৪০০ টাকা হাজিরা হিসেবে দিয়ে যাচ্ছে এই দূর্যোগকালে। শুধু তাই নয়, এসব শ্রমিকদের জন্য একটি হোটেল খোলা রেখেছেন দু’মুঠো ভাত খাওয়ার জন্য। এছাড়াও মালিকপক্ষের পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্য চাল-ডাল, তেলসহ নিতপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সহ-সভাপতি ও মহাখালী বাস টার্মিনালের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাদেকুর রহমান হিরু। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১২ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশক্রমে নিলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাদেকুর রহমান হিরু।এছাড়াও নিজস্ব উদ্যোগে সেখানকার শ্রমিকরা যানবাহন দিনরাত পাহারা দেয়ার কারণে তাদেরকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার যোগান দিচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে সুপরিচিত তেজগাঁওয়ের এই কৃতি সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান হিরু। কখনো দিন-দুপুরে আবার কখনো রাতের অন্ধকারে কর্মহীন শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তিনি নিজেই। রাজধানী ছাড়াও পাঁচশতাধিক গ্রামবাসির মাঝে উপহার দেওয়া হয়েছে সাভারের মাবিয়া খাতুন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ছাদিকুর রহমান হিরু। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনাকে যুগ যুগ বছর বাচিয়ে রাখেন। স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের ঢাকা শহরের এই তেজগাঁও অঞ্চলে ১৯৭৮ সাল অর্থাৎ ৪২ সময় ধরে এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ধার্মিক ও সামাজিক, উন্নয়নের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন নাখালপাড়া যুবকল্যাণের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান হিরু।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হলে পরিবহন খাত সব পক্ষের জন্য উপকার বয়ে আনতো। চাঁদার অঙ্ক সঠিক নয় দাবি করে সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, শ্রমিক-কর্মীদের স্বল্প পরিসরে সহায়তা করছেন তারা। যেকোনো পরিবহনকেই ঘাটে-বেঘাটে চাঁদা দিয়েই চলতে হয় প্রতিনিয়ত। কমপক্ষে ৮ লাখ নিবন্ধিত ও এর বাইরে থাকা আরও বিপুল সংখ্যক বাণিজ্যিক পরিবহন চলে রাস্তায়। ধারণা করা হয়, ৩০০’র বেশি মূল ও অগণিত শাখা সংগঠন কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করে বছরে। চাঁদা আদায়ে মালিক-শ্রমিক-প্রশাসন সবাই জড়িত থাকলেও শ্রমিক কল্যাণের বিষয়টি বরাবরই থাকে উপেক্ষিত। তারা আরও বলছেন, বিপুল অংকের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্র হলেও শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়নি পরিবহনখাতকে। নিয়োগপত্র না থাকায় প্রয়োজনে কর্মীদের শনাক্ত করা এবং সহযোগিতা পেতে তালিকাভুক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান হিরুর জানতে চাইলে বলেন, আসলে রাজধানীর কিছু অসাধু বাস মালিকপক্ষের লোকজন ভূলত্রুটি করলেও মহাখালী বাস টার্মিনালে আমি সংকট সময় চেষ্টা করছি, কিভাবে এসব শ্রমিকদের নিত্যদিনের খোরাক যোগানো যায়। ইনশাহআল্লাহ, আমি সফলভাবে এই দূর্যোগমুহূর্তে কাজ করে যাচ্ছি এসব শ্রমিকদের জন্য।
এছাড়াও ঢাকার সাভার ও তেজগাঁও মহাখালীসহ পূর্ব-পশ্চিম নাখালপাড়ার স্থানীয় লোকদের সাথে আলাপ করে যানা যায় হিরু একজন ন্যায়-নিষ্ঠাবান এবং সাদামনের মানুষও বটে। তারা বলে, যেকোন সময় কারো কোন ব্যক্তিগত প্রয়োজন হলে তিনি স্থানীয় কমিশনার কিংবা চেয়ারম্যানদের আগে ছুটে যান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাদেকুর রহমান হিরু। সম্প্রতি এই মানুষটির মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, আমরা আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। পৃথিবীতে আল্লাহ পাক রাব্বুল আল-আমীন আমাকে আপনাকে পাঠিয়েছে একে অপরের সুখে-দু:খে জড়িয়ে থাকতে। আমি কি করলাম, সেটি বড় কথা নয়। নিজেকে জনসম্মুখে না পৌঁছে দিয়ে অন্তর দিয়ে মানুষকে ভালোবাসলে মহান সৃষ্টিকর্তা হয়তো কিছুটা হলেও খুশি হবে।