হেল্থ ডেস্ক, আজনিউজ২৪: পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপি সূত্র জানায়, বুধবার (৩ জুন) সকালের হিসাব অনুযায়ী করোনায় সারাদেশে পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫০৭ জন, যা গত দিনের (২ জুন) তুলনায় ১৭৪ জন বেশি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলোশনে আছেন আরও এক হাজার ৫৮৫ জন পুলিশ সদস্য। কোয়ারেন্টিনে আছেন পাঁচ হাজার ৫৩৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ১০৬ জন। সুস্থদের মধ্যে অনেকেই আবারও কাজে ফিরেছেন। এর আগে, রাজধানীর ইমপাল্স হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল থেকে প্রায় ৮ শতাধিক করোনা বিজয়ী পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আজ শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১২১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। এসময় করোনা প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় ।
এদিকে, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু আজ গনমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার ও একই ভাবে ১২১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৫৬ জন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়েছেন এবং বাকিরা ইমপালস হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
ডিএমপি’র জনসংযোগ ও গনমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়, সরকারের আইইডিসিআর এর চিকিৎসা প্রটোকল অনুযায়ী এ ১২১ পুলিশ সদস্যদের পরপর দুবার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। টেস্টে দুবারই কোভিড-১৯ নেগেটিভ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদেরকে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেন।
এতে আরও বলা হয়, হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় বরাবরের মতোই করোনা প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় । করোনাভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকে জনগনের পাশে আছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এদিকে, সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগনকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করেই ফ্রন্ট-ফাইটার বা সম্মুখ যোদ্ধা খেতাব পেয়েছেন পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা।
আশা করা হচ্ছে সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যরা পুনরায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন করোনা প্রতিরোধে। এরআগে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৪৩ জন পুলিশ সদস্য সু্স্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বুধবার (৩ জুন) রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং ইমপালস হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০ জন পুলিশ সদস্য। করোনা উপসর্গ নিয়ে এই দুই হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা।