ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে রোববার (২৫ আগস্ট) পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর দু’পক্ষের মধ্যে আর হামলার ঘটনা ঘটেনি। ফলে মাস খানেক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে যে বৃহত্তর যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল সেটা আপাতত কমেছে। তবে ইরানের তরফ থেকে ইসরায়েলের জন্য এখনো বিপদ রয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) এমন কথা বলেছেন আমেরিকার শীর্ষ জেনারেল।
তিনদিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেল ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান সি.কিউ. ব্রাউন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছেন।
ব্রাউন জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে দুটি বড় হুমকি ছিল এর একটি হিজবুল্লাহর হামলা। আর দ্বিতীয়টি হলো তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে ইরানের হামলার হুমকি।
হিজবুল্লাহর হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধের তাৎক্ষণিক ঝুঁকি কমেছে কিনা জানতে চাইলে ব্রাউন বলেন, ‘হ্যাঁ, কিছুটা। আপনারা জানেন, দুটি ঘটনা ঘটার কথা ছিল। একটি ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। এখন বিষয়টি দ্বিতীয় জনের ওপর নির্ভর করছে’।
তিনি বলেন, ‘ইরান কীভাবে জবাব দেবে তার ওপর নির্ভর করছে ইসরায়েলের জবাব। আর এর ওপরই নির্ভর করছে বড় যুদ্ধ হবে কি না’।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রায় ১০০টি যুদ্ধবিমান রোববার সকালে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে আগেভাগে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। তারপর উত্তর ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। ২০০৬ সালে দু’পক্ষের সর্বাত্মক যুদ্ধের পর এবারই তেল আবিবের তরফ থেকে লেবাননে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছে।
Advertisement
ইসরায়েলি এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববারের হামলার মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শহর তেল আবিবে রকেট হামলার বিষয়টিও ছিল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ বলেছে, উত্তর ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে তিন শতাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন তাদের যোদ্ধারা।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, গত ৩০ জুলাই বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকর নিহতের জবাবের প্রথম ধাপে এই হামলা করা হয়েছে। তাছাড়া পর দিন ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলায় হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস।