সারাদেশ ডেস্ক, বরগুনা, এইউজেডনিউজ২৪: বরগুনায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুল চৌরাস্তায় শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারানো ‘চালকহীন’ বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- সিঙ্গাপুর প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩০), তার ছেলে নিশাত (১০) এবং বড় বোনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া (১৫)। তাদের বাড়ি আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওগা গ্রামে।
আহত হয়েছেন নিহত নুপুরের ছোট মেয়ে মমতা (৬), শাহাবুদ্দিন (৫৬) ও গ্রাম্য চিকিৎসক জব্বার (৪০)।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ‘মায়ের দোয়া’ পরিবহন বাসটি (পটুয়াখালী-জ-১১-০০১০) পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুলের স্পিড ব্রেকারের কাছে এসে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে বাসটি একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এরপরে বাসটির চালক গাড়ি চালু অবস্থায় রেখে ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
বাসটি চালু অবস্থায় প্রথমে দুইটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। বাসের চাপায় দুইটি অটোরিকশা দুমড়ে-মুড়চে যায়। এরপরে বাসটি সামনে চলতে থাকে। দ্রুত গতিতে চালকহীন বাসটি সাতজন পথচারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়। এছাড়া আরও তিনজন আহত হয়।
আহতদের আমতলী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে সার্কেল এএসপি সৈয়দ রবিউল ইসলাম ও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। একই পরিবারের তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। সূত্র : ইউএনবি