সারাদেশ ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: রংপুরের গ্রামগঞ্জ সবখানেই এখন বিষবৃক্ষ তামাকজাত আবাদের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভনে বিষ ফলাচ্ছেন কৃষকরা। জীবনঘাতী এ তামাকের আবাদ বন্ধে আইন চায় সচেতন মহল।মাঠ-ঘাট, রাস্তার ধার কিংবা বাড়ির উঠান কোনো জায়গা বাদ নেই।
রংপুর সদরের ডালিয়ার এক কৃষক ৫২ শতক জমিতে তামাকের আবাদ করেছেন। লোকসানের কারণে তার মতো অনেকেই গম, সরিষা, ভুট্টার বদলে তামাকের চাষ করছেন। তামাকজাত কোম্পানিগুলোর নানা সুযোগ সুবিধায় তামাকের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন বলে দাবি কৃষকদের।তারা বলেন, তামাকে মুনাফা বেশি। প্রতিষ্ঠানগুলো নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করছে।
ভয়ংকর তামাক আবাদে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হলেও শস্য ভাণ্ডার বলে খ্যাত রংপুরে এখন তামাকের ভরা মৌসুম। এ বছরও সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর কৃষি জমি গ্রাস করেছে তামাক।
রংপুরের তামাক নিয়ন্ত্রণ কোয়ালিশনের ফোকাল পার্সন সুশান্ত ভৌমিক বলেন, যেই প্রতিষ্ঠানগুলো চাষিদের প্রণোদনা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
রংপুরের কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক পলাশ কান্তি নাগ বলেন, কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এটার জন্য কার্যকরী আইন দরকার।
তামাকের বিকল্প লাভজনক ফসলে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে দাবি করে তামাকজাত কোম্পানিগুলোর প্রলোভন বন্ধে উদ্যোগ চান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, নীতি-নির্ধারক মহলে প্রতিষ্ঠানগুলোর যারা কৃষকদের প্রণোদনা দেয় সেটি বন্ধ করা উচিত। রংপুরে ব্যাপকহারে তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণসহ তামাক নির্ভর বিভিন্ন কারখানা গড়ে ওঠায় হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। সূত্র : সময় টিভি