বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচনের আর মাত্র আট দিন বাকি। আর শেষ পর্যায়ে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
এই নির্বাচনে একটি প্যানেলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সেলিম খানও। নির্বাচনে সভাপতি পদের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি, আর ডিপজল ছিলেন তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে।
গত ২১ মে সেলিম খানের সঙ্গে বাতিল হয় ডিপজলের প্রার্থিতাও। তবে পুনরায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সুযোগ ছিল।
বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও প্রত্যাহারের শেষ দিন। সে ক্ষেত্রে সেলিম খান দ্বিতীয়বার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও ডিপজল তা করেননি।
নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য শারীরিক অসুস্থতাকে কারণ দেখিয়েছেন অভিনেতা ডিপজল।
এক গণমাধ্যমকে এ প্রযোজক ও খল-অভিনেতা বলেছেন, ‘আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। চিকিৎসা নিতে কিছু দিন পর পরই দেশের বাইরে যেতে হয়। নির্বাচনে দেওয়ার মতো সময় আমার নেই। এ কারণে সরে দাঁড়িয়েছি।’
আপাতত তার সব মনোযোগ সিনেমা নির্মাণ ও অভিনয়ের দিকেই।
ডিপজল বলেন, ‘এখন নির্বাচনের চেয়ে সিনেমার কথাই ভাবছি। আমার পাঁচটি ছবি প্রস্তুত। একটি সেন্সরে হয়েছে, আরেকটি হলেই ছবিগুলো মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করব।’
এদিকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান সেলিম খান।
নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনপত্রে সে কথাই লিখেছেন তিনি।
নিজের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে এক আবেদনে সেলিম খান লিখেছেন, ‘আমি মো. সেলিম খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সমিতির আসন্ন ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে একজন প্রার্থী হই। ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম। আমার প্রার্থিতা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
কবে চলচ্চিত্রপাড়ায় খবর, একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে নিজেকে আড়াল করার জন্য নির্বাচন ছেড়েছেন চাঁদপুরে ‘বালুখেকো’ হিসেবে পরিচিত সেলিম খান।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একসময় ক্যাসিনোকাণ্ডেও জড়িয়েছিল সেলিম খানের নাম।
সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বলছেন, নিজের অবস্থান বুঝতে পেরেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেলিম খান।
এদিকে এ দুজন সরে দাঁড়ালেও নির্বাচনের মাঠে আছে খোরশেদ আলম-শামসুল আলম প্যানেল। সেলিম খানের প্যানেলের আলিমুল্লাহ খোকনও লড়বেন।
আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘সেলিম খান ও ডিপজল না থাকলেও আমাদের প্যানেলের ১৯ জন আছি। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’
১৯ জন সাধারণ সদস্য ও দুজন সহযোগী সদস্যের পদের বিপরীতে এখন স্বতন্ত্রসহ মোট প্রার্থী সংখ্যা ৪৪। বর্তমান সাধারণ ভোটার ১০৮ ও সহযোগী ভোটার ৬৮ জন।