কায়িক পরিশ্রম না করা, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণসহ কিছু বদভ্যাসের কারণে মানুষ না চাইলেও মোটা হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, খুব কম খেলেও ক্রমেই ওজন বেড়ে যায়।
সাধারণত শহরাঞ্চলের মানুষ অতি স্থূলতা সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তবে গ্রামেও সংখ্যাটা একেবারে কম নয়। শুনে আশ্চর্য হবেন, এ দেশের বস্তিবাসীর মধ্যে খাবার নিয়ন্ত্রণের সচেতনতা না থাকায় সেখানেও স্থূলতায় ভুগছেন ৬ শতাংশ মানুষ! আসুন জেনে নিই যে ৫ বদভ্যাসের কারণে মানুষ মোটা হয়ে যায়–
সকালের নাশতা বাদ দেয়া
সকালের নাশতা না খেলে হজমতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেবে, শরীরের জৈবিক ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। দুটোই ওজন বাড়াতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আবার সকালে না খেয়ে থাকলে পুরোদিন শরীর আলসেমিতে জড়িয়ে থাকবে। আজেবাজে জিনিস খেতে ইচ্ছে হবে, যা ওজন বাড়ার আশঙ্কা আরও বাড়াবে।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয়
অতিরিক্ত চিনি খেলে বাড়তে পারে ওজন। বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় থেকে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভাত বা অন্য কোনো শর্করাজাতীয় খাবার খেলে যে পরিমাণ মেদ বাড়ে, চিনিতে বাড়ে তার অন্তত দুই থেকে পাঁচ গুণ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খাওয়া
কম পানি পান করা ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে তাদের ওজন কমে। এর কারণ পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
অনিয়ন্ত্রিত ঘুম
ওজন কমানোর সবরকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার পেছনে অনেক সময় অতিরিক্ত ঘুমানোই দায়ী থাকে। পাশাপাশি এতে ওজন বাড়েও। রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমালেই তাকে অতিরিক্ত ঘুম ধরে নেয়া হয়। আবার সাত ঘণ্টার কম ঘুমালে তা হবে অপর্যাপ্ত, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে সেখানেও। যাদের বংশগত স্থূলতার সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। দিনের বেলা ঘুমানও ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মোটেই উপকারী নয়।
অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া
ফাস্টফুডে পরিমাণের অধিক কার্বোহাইড্রেড বা শর্করা এবং চর্বি থাকায় তা শরীরে নানান সমস্যা তৈরি করে, বিশেষ করে মেদ বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত চর্বি দেহে জমতে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীর তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে।
সূত্র: গ্ল্যামোজেন।