ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: যুক্তরাষ্ট্রে কোনোভাবেই যেন থামছে না মৃত্যুর মিছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) একদিনেই করোনায় নতুন করে মারা গেছেন ৮ বাংলাদেশিসহ ২ হাজার ১৭৪ জন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ২৯ হাজারের বেশি। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৬শ। এদিকে, মহামারীর মধ্যেই দেশটির অর্থনীতিকে সচল করতে চলমান লকডাউন ধাপে ধাপে শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনভাবেই যেন টেনে ধরতে পারছেনা প্রাণঘাতী করোনার লাগাম। যতই দিন যাচ্ছে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা।
এর মধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চলমান লকডাউন কয়েকটি ধাপে শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে মার্কিন অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। আর তাই এ মাসের মধ্যেই কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির চাকা পুনরায় সচল করতে কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘শাটডাউন দীর্ঘ মেয়াদে অব্যাহত থাকলে মার্কিন অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। লকডাউনের পাশাপাশি আর্থিক চাপ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে। ব্যাপক হারে মাদক, অ্যালকোহল গ্রহণ, আত্মহত্যার প্রবণতা এবং হৃদরোগসহ বিভিন্ন অসুস্থতা বাড়তে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মার্কিনীরা প্রস্তুত। বৈজ্ঞানিক উপায়ে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।’
তবে, ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় হোয়াইট হাউসের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিধিনিষেধ মানা না হলে আবারো ফিরে এসে আঘাত হানতে পারে করোনাভাইরাস।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্কে অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার( ১৭ এপ্রিল) , অঙ্গরাজ্যটির স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে প্রয়োজনীয় খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেন নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও। এসময় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চলমান সংকট থেকে উত্তরণের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এ পর্যন্ত নয় শতাধিক সেনা সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পেন্টাগন মুখপাত্র জানান, মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিদিন অন্তত ৭শ’ সেনা সদস্যের কোভিড নাইন্টিন পরীক্ষার করা সামর্থ্য থাকলেও, এই মুহূর্তে তা পর্যাপ্ত নয়। তবে, করোনার মহামারীর মধ্যে সামরিক বাহিনীকে যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখতে নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।