ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে আগামী জানুয়ারিতে ওমিক্রনের একটি বড় ধরনের ওয়েভ আসতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করছেন, ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই ঢেউ বিদ্যমান থাকতে পারে। এতে অন্তত ২৫ থেকে ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
অবশ্য সবকিছু নির্ভর করছে বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো কতটা কাজ করবে তার ওপর। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইচটিএম) রোগ মডেলারদের বিশেষজ্ঞ দল এই গবেষণা করেছেন। তারা বলছেন, দেশে অদূর ভবিষ্যতে ওমিক্রন সংক্রমণ কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেই বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা কেবল সম্ভাব্য ফলাফল।
তবে আশার বাণীও শুনিয়েছেন গবেবেষকরা। তারা আবারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে পারে টিকার বুস্টার ডোজ।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যে আরও ৬৩৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এরপরই এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, করোনার নতুন ধরনটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি।
গবেষক দলের সদস্য ড. নিক ডেভিস বলেন, ওমিক্রন অতি সংক্রামক। এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই এ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তবে তার শঙ্কা, বছরের শেষদিকে যুক্তরাজ্যে এটি করোনার প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা অনুমান করছি, যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনের বড় ঢেউ আসছে।
এদিকে, বাধ্যতামূলক টিকা নেয়া এবং করোনা বিস্তার রোধে সরকারের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ায় বিক্ষোভ করছেন হাজার-হাজার জনতা। পুলিশ বলছে, রাজধানী ভিয়েনায় অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ সমাবেশ করছেন।
টিকা না নিলে প্রায় ৪ হাজার ইউরো জরিমানা করার এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির ডানপন্থী সংগঠন ফ্রীডম পার্টি। অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় প্রাণহানি কমেছে। একদিনে মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৫ হাজার।