ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত অনেক দেশেই ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্ট এর ঘটনা যুক্তরাজ্যেই মিলেছে এবার। আর এরকম ভুয়া কোভিড টেস্বের ঝুঁকিতে দেশটির হাজার হাজার মানুষ। সেখানে করোনায় আক্রান্ত মানুষদেরকে ভুল করে কোভিড ‘নেগেটিভ’ সনদ দেয়ার অভিযোগ মিলেছে। অভিযোগের পর সেখানকার একটি কোভিড-১৯ পরীক্ষাগার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা ‘ইউকেএইচএসএ’ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়ে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ মধ্য ইংল্যান্ডে উলভারহ্যাম্পটনের ওই পরীক্ষাগারে এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) বলছে, আনুমানিক ৪৩ হাজার মানুষ পিসিআর পরীক্ষার ভুল নেগেটিভ সনদ পেয়ে থাকতে পারে। ফলে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির মুখে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সংস্থাটির পরিচালক উইল ওয়েলফেয়ার বলেন, আমরা অবিলম্বে ওই পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাস পরীক্ষা স্থগিত করেছি। পাশাপাশি তদন্তও চালাচ্ছি। তিনি জানান, এলএফডি কিংবা পিসিআর টেস্ট কিটে কোনও সমস্যা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এগুলো নিশ্চিন্তেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, র্যাপিড ল্যাটারাল ফ্লো ডিভাইসে (এলএফডি) করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর পিসিআর পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল পাচ্ছিল মানুষজন। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ল্যাব টেস্টের এমন ভুল রিপোর্ট পেয়েছে মানুষজন। যারা এমন সনদ পেয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের বাসিন্দা।
এলএফডির তুলনায় পিসিআর পরীক্ষা বেশি নির্ভুল হয়। তাই এলএফডি পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর পিসিআর পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এলে মানুষ সেলফ-আইসোলেশনে থাকা বন্ধ করতে পারে। সেক্ষেত্রে ল্যাবরাটরির পিসিআর পরীক্ষায় ভুল নেগেটিভ সনদের মানে হচ্ছে, ভুলবশত করোনাভাইরাস আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষের সেলফ আইসোলেশন বন্ধ করার সংকেত দিয়ে দেয়া। আর এমন হওয়া মানে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়া।