ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: সরবরাহ করা নিম্নমানের পিপিই ও মাস্কে নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসকেরা। তারা বলছেন, জীবনবাজি রেখে যারা কাজ করছেন তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে।ময়মনসিংহে সেবা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ১২ চিকিৎসক-নার্সসহ ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকেরা বলছেন, সরবরাহ করা নিম্নমানের পিপিই ও মাস্কের কারণেই আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি এ হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসকসহ করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১৯ জন। আরও অনেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। আক্রান্তদের সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন চিকিৎসক নার্সসহ ৬৯ জন আছেন কোয়ারেন্টাইনে। একসাথে এতো স্বাস্থ্যসেবী আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় মেডিসিন ও শিশু বিভাগের দুটি ওর্য়াড, ডায়ালাইসিস ও আইসিইউ ইউনিটের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকরা বলেন, যে গাইডলাইন অনুযায়ী পিপিই বানানোর কথা তা বানানো হয়নি। মাস্কও এন-৯৫ না। এদিকে দ্রুত চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা। বিএমএর সভাপতি ডা. মো. মতিউর রহমান ভূঞা বলেন, মান সম্মত পিপিই এবং মাস্ক সরবরাহ করা উচিত।তথ্য গোপন করে করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সংক্রমিত হচ্ছেন সেবা সংশ্লিষ্টরা। এভাবে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবা অকার্যকর হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা হাসপাতালের পরিচালকের।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেন, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দেয়ার মতো ডাক্তার ১৫-২০ দিন পর আর পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। ময়মনসিংহ বিভাগে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ জন চিকিৎসক, ১৪ জন নার্সসহ চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট ৭৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।