স্পোর্টস ডেস্ক, আজনিউজ২৪: প্রয়াত আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার অসংখ্য নারীসঙ্গীর কথা কারও অজানা ছিল না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর ছেলে-মেয়ে আছে এটাও সবার জানা। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর অনেকেই নিজেকে তাঁর সন্তান দাবি করে আদালতে গিয়েছেন। তাদেরই একজন সাবেক ফুটবলার ডিয়াগো জুনিয়র। অবশেষে ৩৪ বছর বয়সী ডিয়াগো জুনিয়র আর্জেন্টিনার নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
নাগরিকত্ব নেওয়ার পর ডিয়াগো বলেন, ‘’আমি নেপলসেই জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি। নিজেকে নেপলসের বাসিন্দা বললেও আমার সবসময়ই মনে হয়েছে আমি ইতালিয়ানদের থেকে আলাদা। আমার মনে হয় আমার অর্ধেকটা আর্জেন্টাইন। আমার বাবার জন্যই আমি আর্জেন্টিনাকে ভালবাসি। সে দেশের মানুষদের ভালবাসি।’
নাপোলির হয়ে খেলার সময় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। তখনই জন্ম হয় ডিয়াগো জুনিয়রের। তবে শুরুতে ডিয়াগোকে স্বীকার করতে চাননি ফুটবলের রাজপুত্র। পরে আদালতের নির্দেশে মেনে নিতে বাধ্য হন। এত কিছুর পরও বাবার প্রতি সম্মান, ভালবাসা এতটুকুও কমেনি ডিয়াগোর। এজন্য তিনি দায় দিয়েছেন সাংবাদিকদের!
সাংবাদিকদের অভিযুক্ত করে ডিয়াগো জুনিয়র বলেন, ‘আমার বাবা শুধু ফুটবলার হিসেবে গোটা বিশ্বকে আনন্দ দিয়েছেন তাই নয়, তাঁর উপস্থিতিও মানুষকে আনন্দ দিত। মানুষকে বাকরুদ্ধ করে রাখত। তবে কিছু সাংবাদিক আমার বাবাকে কলুষিত করার চেষ্টা করে গেছেন। তবে তিনি একেবারেই সেই রকম ছিলেন না।’ সূ্ত্র:কালের কণ্ঠ